Helmet Buying Guide: আগে নিজের প্রাণ, হেলমেট কেনার সময় যে বিষয়গুলো খুঁটিয়ে দেখবেন
টু হুইলার নিয়ে রাস্তায় বেরোলেই হেলমেট পরিধান করা অত্যাবশ্যক। তা সে সপ্তাহান্তে ঘুরতে যাওয়াই হোক, অফিসে যাওয়া বা নিত্যদিনের প্রয়োজনে বেরনো সবক্ষেত্রেই মাথায় হেলমেট থাকা সুরক্ষিত রাইডিংয়ের একটি দৃষ্টান্ত। শুধু চালকের নয় যাত্রীর মাথাতেও থাকতে হবে হেলমেট। পুলিশের খপ্পর থেকে বাঁচতেও এটা জরুরি। আবার হেলমেট বাইরের ধুলোবালি, বাতাসের ধাক্কা প্রতিরোধ করতে ভীষণ কার্যকর। এখন বিষয় হচ্ছে, এই হেলমেট কেনা কিন্তু সহজ কথা নয়। এমনটা একেবারেই নয় যে, দোকানে গেলাম আর দরদাম করে একটা হেলমেট নিয়ে চলে এলাম। বেশ কিছু বিষয়ের খেয়াল রাখা জরুরি। আজকের এই প্রতিবেদনে সেই নিয়েই আলোকপাত করা হল।
আরামদায়ক ও মাথার আকৃতির সমান হতে হবে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, নতুন হেলমেট কেনার ক্ষেত্রে সেটি আদৌ আরামদায়ক কিনা, তা যাচাই করে দেখা জরুরী। সেক্ষেত্রে নিজের মাথার আকৃতি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যদিও হেলমেট আরামদায়ক কিনা, তা বোঝার জন্য পরিধান করে দেখাই উৎকৃষ্ট উপায়। হেলমেট পড়ার পর খেয়াল রাখতে হবে মুখের উপর যেন কোন চাপ না সৃষ্টি হয়।
ভাইজর
হেলমেটের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ভাইজর। বেশিরভাগ মানুষ এক্ষেত্রে উদাসীন থাকেন। সুন্দর দেখানোর জন্য অনেকেই স্মোকড অথবা ইরিডিয়াম ভাইজর যুক্ত হেলমেট কিনছেন। কিন্তু ড্রাইভিংয়ের জন্য এমন হেলমেট একেবারেই উপযুক্ত নয়। বিশেষ করে রাতে ও বৃষ্টিতে বাইক চালানোর সময়। পরিষ্কার দৃষ্টি এতে মেলে না। এমনকি হলুদ রঙের ভাইজর যুক্ত হেলমেটও তেমন একটা সুবিধাদায়ক নয়। রাতে হোক বা দিনে, বাইক ও স্কুটি চালানোর জন্য স্বচ্ছ ভাইজর সর্বোৎকৃষ্ট বলে পরিগণিত হয়।
হেলমেটের কুশান কতটা উন্নত
দুর্ভাগ্যবশত দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে, চালকের প্রাণ রক্ষার্থে সর্বাধিক অবদান রাখে হেলমেটের কুশান। বাইকের আঘাতের বেশিরভাগ প্রভাব এর উপর দিয়েই যায়। এটি হতে হবে নরম, শক্ত অথবা ফ্ল্যাট হলে চলবে না।
ISI শংসাপত্র প্রাপ্ত হেলমেট
হেলমেট কেনার আগে সেটি আইএসআই (ISI) দ্বারা শংসাপত্র কিনা, তা অবশ্যই দেখে নিন। উক্ত কর্তৃপক্ষ হেলমেটের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখে সিলমোহর প্রদান করে। তাই সেটির গুণগতমান নিয়ে আর কোন সংশয় থাকে না। পুলিশ ধরলেও আইএসআই ব্যাজিং রয়েছে কিনা তা দেখতে চায়। তাই এমন হেলমেট কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।