Toyota Urban Cruiser Hyryder লঞ্চ হচ্ছে 16 আগস্ট, তেল না পুড়িয়ে শুধু বৈদ্যুতিক শক্তিতে 25 কিমি চলবে এই হাইব্রিড গাড়ি
Toyota Urban Cruiser Hyryder এর অভিষেক ঘটেছিল আগেই। এবার আগামী ১৬ আগস্ট ভারতের বাজারে লঞ্চ হবে এই হাইব্রিড গাড়ি। সে দিনই দাম ঘোষণা হবে। মাঝারি আকারের এসইউভিটি এই সেগমেন্টে দাপিয়ে বেড়ানো Hyundai Creta-র সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সম্মুখীন হবে। এছাড়াও, Kia Seltos, Skoda Kushaq, এবং আপকামিং Maruti Suzuki Grand Vitara-র সঙ্গে লড়াই চলবে৷ এখন ২৫,০০০ টাকা দিয়ে বুকিং করা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, টয়োটা ও সুজুকির গাঁটছড়ায় তৈরি প্রথম গাড়ি এটি।
Toyota Urban Cruiser Hyryder চারটি ট্রিমে উপলব্ধ হবে - E, S, G এবং V। প্রথম তিন ভ্যারিয়েন্ট শক্তিশালী হাইব্রিড পাওয়ারট্রেনের সাথে আসতে চলেছে এবং বাকিগুলি হালকা হাইব্রিড সেটআপ পাবে। শক্তিশালী হাইব্রিড প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে ১১৫ বিএইচপি ক্ষমতার ১.৫ লিটার টিএনজি পেট্রোল ইঞ্জিন এবং টয়োটার ই-ড্রাইভ ট্রান্সমিশন সহ একটি ১৭৭.৬ ভি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। অন্য দিকে নিও ড্রাইভ হিসাবে চিহ্নিত, হালকা হাইব্রিড পাওয়ারট্রেনটিতে ইন্টিগ্রেটেড স্টার্টার জেনারেটর (আইএসজি) সহ মারুতি সুজুকির ১.৫ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন থাকবে, যা একটি ৫-স্পিড ম্যানুয়াল বা একটি ৬-স্পিড অটোমেটিক গিয়ারবক্সের সাথে থাকতে পারে।
টয়োটা আরবান ক্রুজার হাইরাইডার এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য, তেল না পুড়িয়ে শুধু ইলেকট্রিক মোটরের দৌলতে একটানা ২৫ কিলোমিটার চলবে গাড়িটি। ইভি মোডে এই ব্যবস্থা রয়েছে। আবার ব্যাটারি আলাদা করে চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ইঞ্জিনে দৌড়নোর সময় পেট্রল রিজেনারেটিভ প্রযুক্তির নিজে থেকেই চার্জ হয়ে যাবে। আরবান ক্রুজার হাইরাইডার এর টপ-এন্ড ভি ট্রিমে চামড়ায় মোড়ানো স্টিয়ারিং হুইল, ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা প্যানোরামিক সানরুফ, আরকামিস সার্উন্ড সাউন্ড সিস্টেম, হিল ডিসেন্ট কন্ট্রোল, টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম, ড্রাইভ মোড মত আধুনিক বৈশিষ্ট্য উপলব্ধ হবে।
এছাড়াও এসইউভিটিতে থাকবে একটি ৯-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম সহ হেড-আপ ডিসপ্লে, ওয়্যারলেস চার্জিং, অ্যাম্বিয়েন্ট ইন্টেরিয়র লাইটিং, একটি ৭-ইঞ্চি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, কানেক্টেড কার টেক, ক্রুজ কন্ট্রোল, ইবিডি, এবিএস, হিল হোল্ড কন্ট্রোল, রিয়ার পার্কিং, সেন্সর, প্রভৃতি।
টয়োটা জানিয়েছে আরবান ক্রুজার হাইরাইডারে ৩ বছর/১,০০,০০০ কিলোমিটার স্ট্যান্ডার্ড ওয়ারেন্টি উপলব্ধ হবে। যা ৫ বছর/২,২০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। আবার হাইব্রিড ভ্যারিয়েন্টে ৮ বছর/১,৬০,০০০ কিলোমিটার ওয়ারেন্টি থাকবে। গাড়িটি ৭টি মনোটোন এবং ৪টি ডুয়াল-টোন কালার স্কিমে পাওয়া যাবে।