ভক্তদের সহানুভূতি পেতে হার্দিক নিজেই গুজব ছড়িয়েছিলেন? হার্দিক-নাতাশার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটনায় নতুন মোড়
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিবাহ বিচ্ছেদের জল্পনার পর এবার ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) ও তাঁর স্ত্রী নাতাশা স্ট্যানকোভিচের (Natasa Stankovic) ঘটনায় নতুন মোড় এসেছে। সার্বিয়ান মডেল ও অভিনেত্রী নাতাশা হার্দিকের সঙ্গে তার সেই সমস্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ক্রিপটিক পোস্ট দিয়ে রিপোস্ট করেছেন। নাতাশার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ঘেঁটে জানা যায়, হার্দিকের সঙ্গে বিয়ে সহ যে সমস্ত ছবি আগেই উধাও হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার তার ফিডে সে সব দৃশ্যমান। দেখে মনে হচ্ছে সেই ছবিগুলি মুছে ফেলার পরিবর্তে, নাতাশা সেগুলি লুকিয়ে রেখেছিল বা সেগুলি সংরক্ষণ করে রেখেছিল এবং তারপরে সেটিংসে গিয়ে সেগুলি পুনরুদ্ধার করেন।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, হার্দিক পান্ডিয়া ও নাতাশা স্ট্যানকোভিচের সম্পর্কের কি ফের উন্নতি হল, নাকি কখনও খারাপ ছিলই না? সবই কি শুধুই পাবলিসিটি স্টান্ট? আইপিএলে হার্দিক পান্ডিয়ার খারাপ ফর্ম এবং তার আগে স্টেডিয়ামে তার ক্রমাগত সমালোচনা থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই কি এই সব পরিকল্পনা করা হয়েছিল? মনে রাখবেন যে যখন রোহিত শর্মাকে হঠাৎ অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে গুজরাট টাইটান্স থেকে ট্রেড করা হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কমান্ড তুলে দেওয়া হয়েছিল, তখন সবাই অবাক হয়েছিল, যার পরে রোহিত শর্মা এবং মুম্বাইয়ের সৎ ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মাঠ পর্যন্ত হার্দিকের পিছনে হাত ধুয়ে পড়েছিলেন।
কিছুদিন আগে রেডিট পোস্টে এক ইউজার প্রশ্ন করেছিলেন, 'নাতাশা ও হার্দিক কি আলাদা হয়ে গেছে?' সেইসময় পোস্টটি সবার নজর কাড়ে, তখন তদন্ত করে দেখা যায় যে নাতাশা ইনস্টাগ্রামে তার ব্যবহারকারীর নাম থেকে হার্দিকের পদবিও সরিয়ে দিয়েছেন। পুরোনো সব ছবি ডিলিট করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, দু'জনেই একে অপরের সঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন না। পোস্টে হার্দিকের আইপিএল ২০২৪-এর ম্যাচে নাতাশার অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। নাতাশার জন্মদিন ছিল ৪ মার্চ এবং সেদিন হার্দিকের কোনও পোস্ট ছিল না। নাতাশা তার এবং হার্দিকের সাম্প্রতিক সমস্ত পোস্টও মুছে ফেলেছিলেন, কেবল অগস্ত্য তাদের সঙ্গে থাকা পোস্টটি ছাড়া।
স্ট্যানকোভিচ এবং হার্দিক পান্ডিয়া ২০২০ সালের ৩১ মে বিয়ে করেছিলেন এবং দুই মাস পরে ৩০ জুলাই তাদের প্রথম পুত্র অগস্ত্যকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তারা ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে রাজস্থানের উদয়পুরে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের শপথের পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। হয়তো তারা বড় কোনো উদযাপন করতে চেয়েছিলেন, যা করোনাকালে সম্ভব ছিল না।