Vinesh Phogat: ‘ভিনেশের মৃত্যুও হতে পারতো’ ফাইনালের আগে ভিনেশের সেই অভিশপ্ত রাতের কথা জানালেন কোচ
সেমিফাইনাল খেলে ওঠার পর রাতারাতি নিজের ওজন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণকে ধরতে পেরেই সারারাত ধরে ওজন কমাতে চেষ্টা করেছিলেন তারকা কুস্তিগির ভিনেশ ফোগাট। সেই রাতের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয় প্রকাশ্যে এনেছেন তার কোচ ওলার আকোস।
হাতে গোনা বেশ কিছুদিন পার হয়েছে প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪ শেষ হওয়ার। এবারের অলিম্পিকে ৬ টি পদক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ভারতকে। তবে ভারতীয়রা মহিলা কুস্তিগির ভিনেশ ফোগাটের হাত ধরে পদক আসার স্বপ্ন দেখলেও, মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেড়ে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে ভারতীয়দের। ওই কারণেই ফাইনাল খেলার অনুমতি পাননি ভিনেশ।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের কাছে সেই বিষয়টিকে নিয়ে মামলা চলেছিল অনেকদিন ধরেই। কিন্তু শেষমেষ সেই আবেদন খারিজ করে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত। সুতরাং, ভিনেশের হাত ধরে কোনোপ্রকার পদক আসেনি। যাই হোক, সেমিফাইনাল খেলে ওঠার পর রাতারাতি নিজের ওজন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণকে ধরতে পেরেই সারারাত ধরে ওজন কমাতে চেষ্টা করেছিলেন তারকা কুস্তিগির।
সেই খবর জানতে পাওয়া যায় ভিনেশ ফোগাটের কোচ ওলার আকোস। তার কথা মারফত সেমিফাইনালের পর ২.৭ কেজি ওজন বেড়ে যায় ভিনেশের। সেই বাড়তি কমানোর জন্য ভিনেশকে জগিং, স্কিপিং এবং সাইক্লিং করানো হয়েছিল ওইদিন সারারাত। কোনোরকম খাবার দেওয়া হয়নি। এমনকী পর্যাপ্ত জলও দেওয়া হয়নি। তাতে ওজন অনেকটা কমেও যায়। সম্পূর্ণ রাত ধরে পরিশ্রম, খাবার না খাওয়া, পর্যাপ্ত জল না খাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ভিনেশ। পরের দিন তাকে ভর্তি করা হয় গেমস ভিলেজের হাসপাতালে।
ভিনেশ ফোগাটের কোচ ওলার আকোস ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, “সেমিফাইনালের পরে ২.৭ কেজি ওজন বেড়ে যায় ভিনেশের। এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিট ধরে টানা ব্যায়াম করেও ১.৫ কেজি ওজন বেশি ছিল। ৫০ মিনিট সনা বাথ করিয়েও ওজন কমেনি। আর কোনো উপায়ও ছিল না। মাঝরাত থেকে শুরু করে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বিভিন্ন কার্ডিও মেশিন এবং কুস্তির প্যাঁচ করে ভিনেশ। প্রতি ঘণ্টায় মাত্র দু-তিন মিনিট করে বিশ্রাম নিচ্ছিলো। এসব দেখে আমার মনে হয়েছিল, আর কিছু করতে গেলে ভিনেশ মারাও যেতে পারে।” সেই ভয়াবহ রাতের অভিজ্ঞতাই সকলের সামনে তুলে ধরেছেন তিনি।