হ্যাক হবে না আপনার ATM কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড, অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়ম
সাইবার অপরাধীদের উপস্থিতি এখন সর্বত্র। ডিজিটাল জালিয়াতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এই বিপদ থেকে বাঁচতে এই ৬ টিপস সকলের জানা উচিত।
অনলাইন শপিংয়ের প্রবণতা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, UPI ও অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতিগুলির ব্যবহার। সেখানেই ফাঁদ পেতে রেখেছে সাইবার অপরাধীরা। বিশেষ করে উৎসবের মরশুমগুলিতে সবথেকে বেশি সক্রিয় থাকে তারা। তাই আর্থিক জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচতে কয়েকটি টিপস সকলের জেনে রাখা উচিত।
বিশস্ত ওয়েবসাইট
যে ওয়েবসাইটে ক্লিক করছেন সেটি কি আদৌ আসল? টাকা পেমেন্ট করার আগে যাচাই করুন। সাইবার অপরাধীরা নানা জনপ্রিয় কোম্পানির নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে থাকে। সন্দেহজনক ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মে কোনওরকম আর্থিক লেনদেন করা উচিত নয়।
টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন
এখন প্রায় সব ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডেই টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন থাকে। এই বৈশিষ্ট্য দুটি নিরাপত্তা স্তর প্রদান করে। সাইবার অপরাধের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য খুবই কার্যকরী উপায়। ব্যাঙ্কের বা কার্ডের জন্য আলাদা অ্যাপ থাকলে সেখানে গিয়ে বৈশিষ্ট্যটি চালু করুন।
সুরক্ষিত নেটওয়ার্ক
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, পাবলিক WiFi ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন করা উচিত নয়। সর্বদা প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা উচিত। যেগুলি সুরক্ষিত এবং আপনার জানা। নিরাপদ নয় এমন নেটওয়ার্কগুলি সহজে হ্যাক করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের নিয়ন্ত্রণ পেতে পারে অপরাধীরা।
কন্ট্যাক্টলেস লেনদেন
এখন কন্ট্যাক্টলেস লেনদেনের যুগ। কার্ড মেশিনে ট্যাপ করেই লেনদেন করা যায়। এখানে কোনও পিন দিতে হয় না। যে কারণে ঝুঁকি রয়েছে। কন্ট্যাক্টলেস লেনদেন করার আগে মেশিন এবং টাকার অঙ্ক যাচাই করুন।
ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তুলবেন না
ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলার সবথেকে বড় অসুবিধা হল, আপনার উপর উচ্চ সুদের হার চাপবে। এটি একটি আর্থিক বোঝাও বলতে পারেন। বকেয়া না মেটালে আপনার সিবিল স্কোরেও প্রভাব ফেলবে।
পাসওয়ার্ড বদলান
এক পাসওয়ার্ড বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করা উচিত নয়। পাশাপাশি শক্ত এবং মনে রাখা যাবে এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। এগুলি না করলে ঝুঁকি বাড়তে পারে। সাইবার অপরাধীদের কাজ আরও সহজ হয়ে যেতে পারে।