Instagram দিয়ে কেনাকাটা করছেন? প্রোডাক্ট বাড়ি না এলে এক্ষুনি করুন এই কাজ, ফেরত পাবেন টাকা
বর্তমানে অনেকেই Instagram-এর মাধ্যমে নানারকম ব্যবসা করে থাকেন। এরমধ্যে কিছু প্রকৃত ব্যবসায়ী রয়েছেন। সাথে অনেক প্রতারকও আছে, যারা সাধারণ মানুষকে প্রতারণার জালে ফেলে তাদের কষ্টার্জিত টাকা চুরি করে। আর এই প্রতারকদের চেনাটা খুবই মুশকিলজনক। যে কারণে আজকাল অনেক মানুষই Instagram Scam-এর শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি মেল নামের এক মহিলা এমনই এক জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। তিনি অনলাইনে নিজের ছেলের জন্য কিছু জামা কাপড় খুঁজছিলেন, হঠাৎই ইনস্টাগ্রামে একটি বিজ্ঞাপনে তার চোখ পড়ে, যেখানে তিনি তার পছন্দ সই জামা কাপড় খুঁজে পান। সেই বিজ্ঞাপনে তিনি দেখেন চার্লস টাইরউইট নামের একটি ইউজার ক্লোজিং ডাউন সেল দেওয়া হচ্ছে। যেটি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তিনি তার ছেলের অফিসে যাওয়ার জন্য কিছু স্টাইলিশ এবং স্মার্ট জামাকাপড় সেখান থেকে কিনতে চান।
দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই বিজ্ঞাপনটি দেখে মেলের কোন সন্দেহ হয়নি, কারণ তিনি এর আগেও জামা কাপড় কেনার জন্য ইনস্টাগ্রামের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন খুলে দেখেছেন, যদিও তিনি সেখান থেকে কখনো কিছু কেনেননি। তবে এই বিজ্ঞাপনটিতে ফ্ল্যাট ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার দাবি করা হয়েছিল, আর বিজ্ঞাপনে দোকানের ভুয়ো ওয়েবসাইটের নাম দেওয়া ছিল। সেই কারণে ওই মহিলা অফারটি বিশ্বাস করে তার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ছেলের জন্য শার্ট, স্যুট, মোজা এবং টাই প্রভৃতির কেনেন। আর যার জন্য তিনি ১২০০ ডলার (প্রায় ১ লাখটাকা) পেমেন্ট করেন। যদিও শেষমেশ তার কেনা একটি জিনিসও বাড়ি পৌঁছায়নি।
মেলের কাছে বিষয়টি তখনই সন্দেহজনক মনে হয়, যখন তিনি লক্ষ্য করেন যে, তার কাছে কোনো কনফার্মেশন ইমেইল আসেনি এবং জিনিসগুলিও তিন থেকে পাঁচ দিনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার কাছে পৌঁছায়নি। তারপর তিনি দেরি না করে চার্লস টাইরউইটের আসল গ্রাহক পরিষেবা নম্বরে যোগাযোগ করেন এবং সেখান থেকে তার কাছে অর্ডার নম্বর চাওয়া হয়। আর তখন তিনি আবিষ্কার করেন অনলাইন কেনাকাটার সময় তাকে কোনো অর্ডার নম্বরই দেওয়া হয়নি। যদিও মেল তার ব্যাঙ্ক থেকে ১২০০ ডলার ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছিলেন। মেল জানান যে তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে অনলাইনে কেনাকাটা করছেন আর এর আগে কখনো তিনি এমন প্রতারণা শিকার হননি। তাই তিনি এই ব্যাপারে সরাসরি ব্যাঙ্কে অভিযোগ জানান, আর সেখান থেকেই তার তরফে ইনস্টাগ্রামকে রিপোর্ট করা হয়।
এই বিষয়ে মেটার এক মুখপাত্র বলেছেন, এটি এখন একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। স্ক্যামাররা সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করার জন্য দিন দিন নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করছে। তবে তিনি জানান, প্রতারণার শিকার হলে সহজ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে রিপোর্ট করা যায়। পাশাপাশি সমস্ত রকম ভাবে মেটা পুলিশকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
যদিও অনেকের কাছে এটি স্পষ্ট নয় যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতারণার শিকার হলে কিভাবে তারা কোম্পানি গুলির কাছে রিপোর্ট করবেন। আবার এমনও অনেক মানুষ আছেন যারা তাদের প্রতারণার রিপোর্ট করেছেন, এই বিষয়ে তারা কোম্পানির তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাননি।