সস্তায় 200MP ক্যামেরার ক্ষমতা দেখবে গোটা দেশ, Realme 11 Pro সিরিজ জুনেই ভারতে আসছে
রিয়েলমি (Realme) বর্তমানে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের নম্বর সিরিজটিকে বিশ্ববাজারে আনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোম্পানি নিশ্চিত করেছে যে, Realme 11 Pro লাইনআপটি আগামী জুন মাসে ভারতে লঞ্চ করা হবে। এমনকি এর ল্যান্ডিং পেজটিও রিয়েলমির ভারতীয় শাখার ওয়েবসাইটে বেশ কয়েকদিন ধরেই উপস্থিত রয়েছে। আর এখন, Realme 11 Pro সিরিজের মাইক্রোসাইট ফ্লিপকার্ট (Flipkart)-এ লাইভ হয়েছে। আসুন তাহলে নতুন মাইক্রোসাইট থেকে রিয়েলমির আসন্ন ফোনগুলির বিষয়ে কি কি তথ্য সামনে এল, জেনে নেওয়া যাক।
Realme 11 Pro-এর ফ্লিপকার্ট মাইক্রোসাইট থেকে প্রকাশ্যে এল ক্যামেরার তথ্য
জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, ফ্লিপকাট্রে রিয়েলমি ১১ প্রো সিরিজের মাইক্রোসাইট লাইভ হয়েছে। এই লাইনআপে রিয়েলমি ১১ প্রো এবং ১১ প্রো প্লাস - এই দুই মডেল অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ পেজ থেকে কনফার্ম করা যায় যে, এটি স্যামসাংয়ের ২০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সেন্সর অফার করবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, পেজে আরও বলা হয়েছে যে এটি ৪ x ইন-সেন্সর জুম সহ বিশ্বের প্রথম ২০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দ্বারা সজ্জিত ফোন।
তবে জানিয়ে রাখি, রিয়েলমি ১১ প্রো এবং রিয়েলমি ১১ প্রো প্লাস-এর স্পেসিফিকেশনগুলি আর অজানা বিষয় নয়, কেননা এগুলি ইতিমধ্যেই চীনের বাজারে লঞ্চ হয়েছে। উভয় স্মার্টফোনেই ৬.৭ ইঞ্চির অ্যামোলেড (AMOLED) স্ক্রিন রয়েছে যা ফুলএইচডি+ রেজোলিউশন এবং ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট অফার করে। দুই মডেলই মিডিয়াটেকের ডাইমেনসিটি ৭০৫০ চিপসেট দ্বারা চালিত।
অনুমান করা হচ্ছে যে, Realme 11 Pro ভারতীয় বাজারে ৮ জিবি র্যাম + ১২৮ জিবি স্টোরেজ, ৮ জিবি র্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ এবং ১২ জিবি র্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ- এর মতো বিকল্পগুলিতে পাওয়া যাবে। অন্যদিকে, টপ-এন্ড Realme 11 Pro+ মডেলটি ৮ জিবি র্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ এবং ১২ জিবি র্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজের মতো ভ্যারিয়েন্টে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুটি ফোনই চলবে অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক রিয়েলমি ইউআই ৪.০ (Realme UI 4.0) ইউজার ইন্টারফেসে।
Realme 11 Pro-তে ১০০ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো সেন্সর রয়েছে। সেলফির জন্য, ফোনের সামনে একটি ১৬ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরাও বর্তমান। অন্যদিকে, Realme 11 Pro+-এর রিয়ার প্যানেলে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (OIS) সহ ২০০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা, একটি ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা উপস্থিত রয়েছে। এর ফ্রন্ট প্যানেলে একটি ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা দেখা যায়।
পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য, দুটি স্মার্টফোনেই রয়েছে ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। তবে, প্রো মডেলটি ৬৭ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে, আর প্রো+ ১০০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি অফার করে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য, উভয় হ্যান্ডসেটেই একটি ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।