চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, তার আগেই ভারতের স্মার্টফোন বাজারে পতন, Xiaomi-র ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে Samsung
ভারতের স্মার্টফোন বাজারে ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় অ্যানুয়াল কোয়ার্টারেও মার্কেট শেয়ারে পতন দেখা গেছে বলে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করলো স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্স। রিপোর্ট অনুসারে, ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে এদেশের স্মার্টফোন বাজারের ইয়ার-অন-ইয়ার (YoY) গ্রোথ ৩% হ্রাস পেয়েছে। কোভিড-১৯ অতিমারীর আগমনের আগেও যেখানে একাধিক দ্বি-সংখ্যক গ্রোথ দেখেছে টেক সংস্থাগুলি, সেখানে বিগত কিছু সময়ের মধ্যে এরূপ হ্রাসপ্রাপ্ত YoY পরিসংখ্যান যথেষ্ট হতবাক করেছে আমাদের। এক্ষেত্রে, ক্রমাগত স্মার্টফোন বাজারের মার্কেট শেয়ারে পতন ঘটার বা প্রভাবিত হওয়ার নেপথ্যে থাকা বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ তুলে ধরা হয়েছে সাম্প্রতিক রিপোর্টে। যার মধ্যে কিছু প্রতিবন্ধকতা এমনও রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে ভারতীয় স্মার্টফোন বাজারে।
স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের লেটেস্ট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শাওমি (Xiaomi) ভারতের স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষস্থানে অবস্থান করে আছে। আর স্যামসাং (Samsung) এবং রিয়েলমি (Realme) যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে। যদিও স্যামসাং, শাওমির ঘাড়ের উপর নিশ্বাস ফেলছে। অন্যদিকে, চতুর্থ স্থানে থাকা ভিভো (Vivo) প্রায় রিয়েলমির মতোই অনুরূপ পারফর্ম করেছে। রিপোর্টে আরো দাবি করা হয়েছে যে, ভারতে বিক্রি হওয়া মোট মোবাইল ডিভাইসগুলির প্রায় ৮০% -এরও বেশি এই শীর্ষ চারটি স্মার্টফোন বিক্রেতাদের দ্বারা তৈরী।
বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে মনে করা হচ্ছে যে, ভারতের স্মার্টফোন মার্কেট ট্রেন্ড চলতি বছরে মধ্যে হয়তো উন্নত নাও হতে পারে৷ এক্ষেত্রে, স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্স তাদের রিপোর্টে, স্মার্টফোন বিক্রেতা সংস্থাদের একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হতে পারে বলে জানিয়েছে৷ তদুপরি, এরূপ নিম্নগামী YoY গ্রোথের ক্ষেত্রে এদেশের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি অন্যতম উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কেননা, মূল্যবৃদ্ধির প্রকোপে মোবাইল ডিভাইসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট আছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের দরুন তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে আসা বাঁধার কারণে পরোক্ষভাবে ভারতে মোবাইলের দাম আরও বাড়তে পারে। যেহেতু শিপমেন্ট বা পরিবহন চার্জের ভারও সংস্থাগুলিকেই বহন করতে হয়।
আবার সম্প্রতি চীনে পুনরায় নতুন 'কোভিড-ওয়েভ' আসার খবর শোনা যাচ্ছে। এমত পরিস্থিতিতে, আবারও সাপ্লাই চেইন বা লাইন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপকভাবে উদ্বেগে ফেলেছে টেক সংস্থাগুলিকে। অধিকন্তু, ভারতে ২০২২ সালে ৫জি (5G) স্পেকট্রামের নিলাম এবং কিছুদিন পরে রোলআউট, মোবাইল বিক্রেতাদের ৫তম সেলুলার নেটওয়ার্কের হ্যান্ডসেট বিক্রির জন্য বাধ্য করতে পারে। যার দরুন ৪জি কানেকশনের সাথে আসা স্মার্টফোনের মার্কেট শেয়ার ভালোই প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।