5 বছর পর ফেলে দিতে হবে নিজের শখের Smartphone! কতটা যৌক্তিক ভাইরাল খবর?
কোনো জিনিস দীর্ঘসময় ধরে সংরক্ষণ করে রাখা যদি কোনো আর্ট হয়, তাহলে ভারতীয়রা সেক্ষেত্রে আর্টিস্টের চেয়ে কম কিছুনা। এদেশের মানুষ পরিবার-পরিজনের জিনিস এমনকি পূর্বপুরুষদের জিনিসপত্রও বাঁচিয়ে রাখে। আর সংরক্ষণ সম্ভব না হলে সেই জিনিসের শেষ অবধি ব্যবহার চলে। এমতাবস্থায় আপনাকে যদি বলা হয় যে নিজের শখের স্মার্টফোনটি ঠিকঠাক চললেও ৫ বছরের মধ্যে সেটিকে বিদায় জানাতে হবে, তাহলে নিশ্চয়ই আপনার কপালে চিন্তার একটা ভাঁজ পড়বে? কিন্তু অদ্ভূত ব্যাপার হচ্ছে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি এমনই বার্তাসহ একটি পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে। ওই পোস্ট অনুযায়ী, ইউজারদের প্রতি পাঁচ বছর অন্তর স্মার্টফোন বদলাতে হবে এবং পুরোনো ফোনকে আবর্জনা হিসেবে ফেলে দিতে হবে, কারণ সরকার নতুন স্ক্র্যাপ পলিসি এনেছে। কতটা সত্যি বা যুক্তিযুক্ত এই পোস্ট? আসুন বিশদ জেনে নিই…
ফোন পাল্টানোর জন্য কোনো নিয়ম চালু করেনি সরকার
এখনকার সময়ে অনেকেই ঘন ঘন স্মার্টফোন পাল্টে নতুন মডেল কেনেন। আবার অনেকের কাছেই মুঠোফোন অনেক শখের, সেটিকে বছরের পর বছর ব্যবহার করায় গর্ব বোধ করেন এমন মানুষেরা। সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া মোবাইল স্ক্র্যাপ পলিসি (mobile scrap policy) সম্পূর্ণ ভুয়ো। সরকার, নাগরিকদের ৫ বছর অন্তর অন্তর ফোন বদলানোর কোনো নিয়ম চালু করেনি। যদিও সরকারের তরফে প্রতিটি ইলেকট্রনিক আইটেমের মেয়াদ শেষ হওয়ার একটি বাণিজ্যিক প্যারামিটার নির্ধারণ করা রয়েছে, ঠিক যেমন ভারতে যানবাহনের ১৫ বছরের নির্দিষ্ট মেয়াদ ধার্য। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের পর মোবাইল স্ক্র্যাপ হয় বটে কিন্তু সেই মেয়াদটা ৫ বছর নয়। এই বিষয়ে হালফিলে জনপ্রিয় এক টেক ইউটিউবার একটি টুইটও করেছেন।
স্ক্র্যাপ পলিসির নিয়ম কী?
এ প্রসঙ্গ আজকের নয়। গত ২০১৩ সালে ভারত সরকার, মোবাইল ফোনের মেয়াদ শেষের প্রসঙ্গে SAR বা স্পেসিফিক অ্যাবসর্পশন রেট ভ্যালু ধার্য করেছে, যা প্রতিটি স্মার্টফোন কোম্পানিকে মেনে চলতে হয়। এই সার বা এসএআর ভ্যালু থেকেই নিশ্চিত হয় কোন ডিভাইস কতটা রেডিয়েশন ছড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ডিভাইসের জন্য আলাদা মান নির্ধারণ করা হয়েছে বটে, কিন্তু এটা বিশ্বাস করা হয় যে কোনো ডিভাইসের সার ভ্যালু ১.৬ ওয়েট/কেজির বেশি হওয়া উচিত নয়।
কীভাবে আপনার মোবাইলের SAR ভ্যালু চেক করবেন?
নিজের মোবাইলের সার ভ্যালু চেক করতে আপনাকে ডায়াল প্যাডে গিয়ে *#07# লিখতে হবে। এতে আপনি বিশদ পেতে সক্ষম হবেন।