নিজের পছন্দ অনুযায়ী মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন, Jio দিচ্ছে এই বিশেষ সুবিধা
নতুন মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে আমরা পছন্দের ব্র্যান্ড খুব সহজেই নির্বাচন করতে পারি। এমনকি নেটওয়ার্ক কানেকশনের জন্য কোন কোম্পানির সিম নেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও আমাদের জন্য কোনো বড় ব্যাপার নয়। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ফোন নম্বর নির্বাচনের বিষয়টি – ইচ্ছেমতো মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর বেছে নেওয়া গেলেও পছন্দসই ফোন নম্বর সাধারণত পাওয়া যায়না। কানেকশন কেনার সময় যা বরাদ্দে জোটে, তাই নিয়েই কাজ চালাতে হয়। তবে ভারতের টেলিকম বাজারের পাশাপাশি এই বিষয়টিতেও বদল এনেছে Reliance Jio। শীর্ষস্থানীয় টেলকো বর্তমানে 'চয়েস নম্বর' (Choice Number) স্কিম অফার করে, যার সাহায্যে প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড উভয় ধরণের গ্রাহকরাই সহজে তাদের পছন্দের একটি মোবাইল নম্বর পেতে পারেন।
ইচ্ছেমতো মোবাইল নম্বর ব্যবহারের সুযোগ দেয় Jio
যারা জানেন না তাদের বলে রাখি যে, রিলায়েন্স জিওর চয়েস নম্বর স্কিমের সাথে আপনারা নতুন জিও নম্বর নেওয়ার ক্ষেত্রে শেষ ৪ থেকে ৬টি সংখ্যা নির্বাচন করার স্বাধীনতা পাবেন৷ মানে পুরো নম্বরের পুরো ১০টি সংখ্যা নির্বাচন করতে না পারলেও, তার কিছুটা অংশে আপনি নিজের লাকি নম্বর, জন্ম তারিখ বা একটি প্রিয় নম্বর ক্রম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বা কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
কীভাবে নতুন Jio নম্বর কাস্টমাইজ করবেন?
১. জিও চয়েস নম্বর স্কিম কাজে লাগাতে বা নতুন জিও নম্বর কাস্টমাইজ করতে আপনাকে প্রথমে জিওর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (Jio.com) থেকে সেল্ফ কেয়ার সেকশনে যেতে হবে বা https://www.jio.com/selfcare/choice-number/ ওয়েবসাইটটি সরাসরি খুলতে হবে। এক্ষেত্রে ফোনের মাইজিও (MyJio) অ্যাপটিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. পরবর্তী ধাপে ওয়েবসাইটে প্রদত্ত 'চয়েস নম্বর' সেকশনে যান। অথবা মাইজিও অ্যাপের সার্চ বারে টাইপ করে 'চয়েস নম্বর' অপশন সার্চ করুন।
৩. এরপরে আপনি নিজের প্রিপেইড বা পোস্টপেইড জিও নম্বরের জন্য শেষ ৪ থেকে ৬টি সংখ্যা ইচ্ছেমতো নির্বাচন করুন বা লিখুন।
৪. একবার এই কাজ হয়ে গেলে পেমেন্ট সেকশনে জন হবে এবং ৪৯৯ টাকা ফি দিন।
৫. পেমেন্ট করার পর আপনার নতুন জিও নম্বর ২৪ ঘন্টার মধ্যে সক্রিয় হবে।