এপ্রিলে ১৬ লক্ষেরও বেশি ভারতীয় অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে WhatsApp, নিরাপদ থাকতে করবেন না এই ৪টি কাজ

গত এপ্রিল মাসে আবারো ১৬ লক্ষেরও বেশি ভারতীয় ইউজারের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ইন্সট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম WhatsApp (হোয়াটসঅ্যাপ)। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন, আসলে এই প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে ক্ষতিকারক কার্যকলাপ করা থেকে ইউজারদেরকে বিরত রাখতেই সংস্থার পক্ষ থেকে এই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে বারংবার সাবধান করার পাশাপাশি একাধিকবার জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও অসৎ কার্যকলাপ করা থেকে কিছু ইউজারদেরকে কোনোমতেই আর আটকানো যাচ্ছে না, ফলে Meta (মেটা) মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটি ক্রমেই কঠোর থেকে কঠোরতর হচ্ছে।

আইটি (IT) রুলস ২০২১ অনুযায়ী, গত বুধবার সংস্থাটির মাসিক ডিসক্লোজার রিপোর্ট (monthly disclosure report) প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই জানানো হয়েছে যে, মেসেজিং অ্যাপটি গত এপ্রিলে ১৬ লক্ষেরও বেশি ভারতীয় ইউজারের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে। ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে প্ল্যাটফর্মটিতে যারা সংস্থার নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মেটা মালিকানাধীন অ্যাপটি তার প্রতিরোধ এবং শনাক্তকরণ পদ্ধতির (prevention and detection methods) মাধ্যমে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এপ্রিল মাসে মোট ৮৪৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১২৩টির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এপ্রিল মাসে প্রায় ৬৭০টি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার অভিযোগ পেয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ যার মধ্যে প্রায় ১২২টি অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে।

এখন নিশ্চয়ই আপনাদের মনে প্রশ্ন আসছে যে, ঠিক কী ধরনের কাজ করলে কোনো ইউজারের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হতে পারে? সেক্ষেত্রে এই প্রতিবেদনে আমরা এমন চারটি কাজের কথা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি, যেগুলি করা থেকে আপনাদেরকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে, যদি আপনারা ভবিষ্যতে নিরাপদে এবং নিশ্চিন্তে নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা চালিয়ে যেতে চান। সবসময় মনে রাখবেন, প্ল্যাটফর্মটির অপব্যবহার করলে কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদেরকে কোনোমতেই রেহাই দেবে না। পূর্বেও তারা কোটি কোটি ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ব্যান করেছে এবং ভবিষ্যতেও অবশ্যই তা করা জারি রাখবে।

এই ভুলগুলি খবরদার করলে অবিলম্বে ব্যান হবে WhatsApp অ্যাকাউন্ট

১) কখনো হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাউকে কোনো ভুয়ো, অশ্লীল, বেআইনি, উস্কানিমূলক, হিংসাপূর্ণ, মানহানিকর, ঘৃণ্য, হয়রানিমূলক, হুমকি বা ভয় দেখিয়ে কোনো ভীতিকর মেসেজ পাঠাবেন না। কারণ এরকম কাজ করে ধরা পড়লে অবিলম্বে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হতে পারে।

২) ২১ দিনের মধ্যে টাকা দ্বিগুণ হবে – এরকম স্কিম সংক্রান্ত কোনো মেসেজ ভুলেও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাউকে পাঠাবেন না, তাহলে সংস্থাটি আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে।

৩) আপনি যদি অন্য কারোর নামে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেটিকে ব্যবহার করা চালিয়ে যেতে থাকেন এবং অ্যাপ কর্তৃপক্ষ যদি ঘূণাক্ষরেও তা টের পায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ আপনার অ্যাকাউন্টটিকে ব্যান করবে হোয়াটসঅ্যাপ।

৪) যেকোনো ধর্ম অথবা উপাসনাস্থলের ক্ষতি করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মেসেজ ছড়িয়ে দেওয়া এক ঘৃণ্য অপরাধ। তদুপরি, কারোর ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানে, এমন মেসেজ কখনোই এই অ্যাপ মারফত শেয়ার করা উচিত নয়। তাই নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটিকে অ্যাক্টিভ রাখতে চাইলে এই ধরনের কাজ কখনোই করবেন না।