দামের তোয়াক্কা না করেই ভারতবাসী মজেছে Apple ডিভাইসে

গত মাসেই Apple ভারতে তাদের প্রথম অনলাইন স্টোর লঞ্চ করেছিল। যারপরেই আন্দাজ করা যাচ্ছিলো যে, ভারতে অ্যাপলের ব্যবসা আরও বাড়বে।যা এবার সত্যি বলে প্রমান হল। সম্প্রতি Apple ভারতে তাদের বিক্রির যে হিসাব দিয়েছে, তাতে অনেকটাই বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে। সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারে তাদের মোট ৬৪.৭ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। অ্যাপলের CEO টিম কুক জানিয়েছেন, আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়া প্যাসিফিকের বাকি অংশে তাঁদের এই কোয়ার্টারে রেকর্ড বিক্রি হয়েছে। এছাড়া তাঁদের ম্যাক অ্যান্ড সার্ভিসেস ব্যবসাতেও বিক্রির পরিমাণ সর্বকালের সেরা।

ভারতে নতুন অনলাইন অ্যাপেল স্টোর

Apple জানিয়েছে, ভারতে নতুন অনলাইন স্টোর তৈরি এই লাভের অন্যতম কারণ। Canalys-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাপেল ভারতের ওপর নতুন করে জোর দিচ্ছে, কারণ ভারতের জন্যই তাদের ডবল-ডিজিট বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। এই বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে Apple ৮ লাখ প্রোডাক্ট বিক্রি করেছে। গত মাসে ভারতে অনলাইন অ্যাপল স্টোর লঞ্চ হওয়ার আগে ভারতীয় গ্রাহকদের ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন বা অন্যান্য অথরাইজড বিক্রেতাদের কাছ থেকে অ্যাপেলের জিনিস কিনতে হত। কিন্তু এই নতুন স্টোর হবার ফলে তারা সরাসরি অ্যাপলের কাছ থেকেই তাদের জিনিস কিনতে পারছে। এছাড়া কোম্পানি তাদের অনলাইন স্টোরে একটি উৎসব অফার দিয়েছিল। এই অফারে iPhone 11-এর সঙ্গে এয়ারপড বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছিল।

অবশ্য ভারতে বিক্রি বেশি হলেও পৃথিবী জুড়ে আইফোনের বিক্রি ২০% কমে গেছে। এর কারণ সম্ভবত সাপ্লাইয়ের সমস্যা এবং লকডাউন। যদিও এই সময় বিশ্ব জুড়ে সমস্ত ব্যবসাতেই ক্ষতি হয়েছে। অ্যাপলও তার ব্যতিক্রম নয়।

অ্যাপলের ম্যাক অ্যান্ড সার্ভিসেস ব্যবসা এই কোয়ার্টারে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তৃতীয় কোয়ার্টারে ম্যাকের বিক্রি ছিল ৯ বিলিয়ন ডলার। চতুর্থ কোয়ার্টারে এই বিক্রি ১৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে। তাছাড়া আইপ্যাড বিক্রির ক্ষেত্রেও ৪৬% বৃদ্ধির লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া অ্যাপলের অন্যান্য অ্যাক্সেসরি বিক্রিও বেড়েছে।

টিম কুক জানিয়েছেন, “কোভিড ১৯-এর প্রভাব সত্বেও Apple সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রয়েছে এবং আমাদের প্রথম 5G আইফোন থেকে শুরু করে অন্যান্য নতুন প্রোডাক্ট মানুষের কাছে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। দূরশিক্ষা বা বাড়িতে থেকে অফিস করা- সমস্ত ক্ষেত্রেই অ্যাপল প্রোডাক্টগুলি এই প্যান্ডেমিকে মানুষকে বিশ্বের সাথে সংযুক্ত রেখেছে।”