খুব শীঘ্রই চালু হচ্ছে Youtube-এর প্রথম অনলাইন স্টোর, মিলবে আরো ভালো ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস?

বাজারে নানারকম বিকল্প থাকা সত্ত্বেও, ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট Youtube (ইউটিউব)। প্রায় দুই দশকের কাছাকাছি সময় ধরে মানুষ বিনোদন, কোনো কিছু শেখা বা জানার জন্য Google অধীনস্থ এই প্ল্যাটফর্মটির ওয়েবসাইট-অ্যাপ ব্যবহার করে আসছে। তবে নিজের ব্যবসা এবং পরিষেবা প্রসারিত করতে এবার একটি নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে Youtube। গতকাল স্ট্রিট জার্নালের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, সংস্থাটি খুব শীঘ্রই তার প্রথম অনলাইন স্টোর চালু করতে চলেছে। মূলত ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিসের জন্যই এই স্টোর চালু হবে, আর এর নাম হবে ‘Channel Store’ (‘চ্যানেল স্টোর’)। এক্ষেত্রে অনলাইন স্টোরটিকে কার্যকরী করার জন্য, Youtube অন্যান্য অনেক বড় বিনোদন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ১৮ মাস ধরে অনলাইন স্টোরের জন্য কাজ করছে Youtube

ইউটিউব নিজে স্টোর চালুর বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ইউটিউব তার অনলাইন স্টোরের জন্য গত ১৮ মাস অর্থাৎ প্রায় দেড় বছর ধরে কাজ করছে; এতদিন পর এই বিষয়ে প্রথমবার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

এক্ষেত্রে ইউটিউব মূলত স্যাটেলাইট টিভি ব্যবহারকারীদের সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক ভিডিও স্ট্রিমিং পরিষেবার অধীনে আনার পরিকল্পনা করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একবার সংস্থার অনলাইন স্টোর চালু হলে, ইউটিউব রোকু (Roku) এবং অ্যাপল (Apple)-এর মত কোম্পানির তালিকায় যোগ দেবে যাদের ইতিমধ্যেই সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক ভিডিও স্ট্রিমিং পরিষেবা রয়েছে।

ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে মিলতে পারে নতুন অপশন

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ওয়ালমার্ট (Wallmart), ভিডিও স্ট্রিমিং পরিষেবায় প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্য ওয়ালমার্ট বেশ কয়েকটি মিডিয়া কোম্পানির সঙ্গে কথা বলছে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে গত মাসে ইউটিউব কানাডিয়ান ই-কমার্স কোম্পানি শপিফাই (Shopify)-এর সাথে পার্টনারশিপ ঘোষণা করেছে। এই অংশীদারিত্বের ফলে, কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের প্রোডাক্টগুলি ইউটিউবে বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে প্রায় দুই বিলিয়ন ইউজার এই অংশীদারিত্ব থেকে উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ওয়ালমার্ট ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের কোনো নতুন বিকল্প এনে কতটা ইউজার টানতে সক্ষম হবে, তা বলবে সময়ই!