দাম এক, Royal Enfield Himalayan ও Yezdi Adventure এর মধ্যে কোন বাইক কিনলে লাভ

Yezdi Adventure ক’দিন আগেই নতুন আপডেটের সঙ্গে ভারতে লঞ্চ হয়েছে। নয়া মডেলের এক্স শোরুম দাম ২.১৬ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। নতুন আপডেটের কল্যাণে বাইকটি আগের তুলনায় অনেক বেশি স্মুথ পারফরমেন্স প্রদান করতে পারবে। তবে অ্যাডভেঞ্চার বাইকের কথা বলতে গেলেই স্বাভাবিকভাবেই Royal Enfield Himalayan এর নাম চলে আসে সবার প্রথমে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চার কি পারবে রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান কে টক্কর দিতে? সেই উত্তরের খোঁজ দেবে আজকের এই প্রতিবেদন।

Yezdi Adventure vs Royal Enfield Himalayan: ডিজাইন ও হার্ডওয়্যার

রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান এবং ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চার উভয় ক্ষেত্রেই খাঁজকাটা ডিজাইনের ফুয়েল ট্যাংক, সামনের দিকে পাখির ঠোটের মত অংশ, গোলাকার হেডল্যাম্প, চওড়া হ্যান্ডেলবার, উঁচু করা উইন্ডস্ক্রীন, স্প্লিট স্টাইলের সিট, উঁচু করা এগজস্ট পাইপ দেখতে পাওয়া যায়। দুটি বাইকের মধ্যেই সামনের দিকে ২১ ইঞ্চির স্পোক যুক্ত চাকা থাকলেও পেছনের দিকে রয়েছে ১৭ ইঞ্চির চাকা। তবে হিমালয়ান এর মধ্যে সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল ব্যবহার করা হলেও ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চারে কিন্তু রয়েছে ফুল ডিজিটাল কনসোল। ডিজাইনের দিক থেকে অধিক আকর্ষণীয় এবং আধুনিক স্টাইল বর্তমান ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চারে।

Yezdi Adventure vs Royal Enfield Himalayan: ডাইমেনশন ও ওজন

রয়্যাল এনফিল্ড এর বাইকগুলি বরাবরই অধিক ওজনের হয়ে থাকে। ১৫ লিটার ইঞ্জিন যুক্ত হিমালয়ান বাইকটির মোট ওজন ১৯৯ কেজি। এর তুলনায় খানিকটা কম ওজন রয়েছে ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চারে- ১৮৮ কেজি। এটির ফুয়েল ট্যাংকের আয়তন ১৫.৫ লিটার। তবে দুটি বাইকেরই হুইল বেসের দৈর্ঘ্য ১৪৬৫ মিমি।

Yezdi Adventure vs Royal Enfield Himalayan: ব্রেক ও সাসপেনশন

রাইডারের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান এবং ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চার বাইকের উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক এবং ডুয়েল চ্যানেল এবিএস উপলব্ধ রয়েছে। তবে ইয়েজদিতে তিন ধরনের রাইডিং মোড থাকছে। সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে উভয় ক্ষেত্রেই সামনের চাকায় টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনের দিকে প্রিলোড এডজাস্টেবল মনোসক ইউনিট দেওয়া হয়েছে।

Yezdi Adventure vs Royal Enfield Himalayan: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

শক্তির নিরিখে বেশ পিছিয়ে রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান। ৪১১ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন থাকা সত্বেও যা থেকে সর্বোচ্চ উৎপাদিত পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ২৪ এইচপি এবং ৩২ এনএম। অন্যদিকে ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চার এর ক্ষেত্রে চালিকা শক্তি যোগায় ৩৩৪ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। যার পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট ২৯.৭ এইচপি এবং ২৯.৯ এনএম, এটি হিমালয়ানের তুলনায় খানিকটা বেশি। তবে উভয়ের ক্ষেত্রেই পাঁচ ধাপযুক্ত গিয়ার বাক্স উপলব্ধ।

কোনটি কিনবেন?

হিমালয়ানের দাম ২.১৬ লাখ টাকা থেকে ২.২৮ লাখ টাকার মধ্যেই। অন্যদিকে ২০২৩ ইয়েজদি এডভেঞ্চার ২.১৬ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২.২০ লাখ টাকার মধ্যেই কিনতে পাওয়া যাবে। আকর্ষণীয় ডিজাইন, মডার্ন ফিচার, উন্নত প্রযুক্তি, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং রাইডিং মোড এই সমস্ত কিছুর মিলিত সহাবস্থান ইয়েজদি অ্যাডভেঞ্চার এর মধ্যে থাকায় এটি কেনাই যথাযোগ্য।