ARAI Crash Test: শুধু চার চাকা গাড়ি নয়, সুরক্ষা খতিয়ে দেখতে ভারতে স্কুটারের ক্র্যাশ টেস্ট চালু হয়ে গেল

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইলেকট্রিক স্কুটারের জবাব নেই। একই সাথে পেট্রোলের অগ্নিমূল্য থেকে রেহাই পেতেও অনেকেই পরিবেশবান্ধব দু’চাকার গাড়ি বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি সমস্যা চিন্তার…

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইলেকট্রিক স্কুটারের জবাব নেই। একই সাথে পেট্রোলের অগ্নিমূল্য থেকে রেহাই পেতেও অনেকেই পরিবেশবান্ধব দু’চাকার গাড়ি বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি সমস্যা চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। তা হচ্ছে ব্যাটারি চালিত স্কুটারে বারংবার আগুন লাগার ঘটনা। এই সমস্যার সমাধান সূত্র হিসেবে এবার থেকে গাড়ির পাশাপাশি ইলেকট্রিক স্কুটারের ক্র্যাশ টেস্ট নেওয়ার উদ্যোগ নিল অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা ARAI। সম্প্রতি সংস্থা ইলেকট্রিক টু-হুইলারের ওপর তিনটি ভিন্ন ক্র্যাশ টেস্ট করেছিল। যা মহারাষ্ট্রের পুণেতে এআরএআই-এর দপ্তরে সম্পাদিত হয়।

ভারতে ইলেকট্রিক স্কুটারে ক্র্যাশ টেস্ট নিল ARAI

এতদিন শুধুমাত্র চার চাকা গাড়ির ক্র্যাশ টেস্ট নেওয়া হতো। কিন্তু ২০২২ থেকে ইলেকট্রিক স্কুটারে ক্রমাগত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রত্যক্ষ করে এবারে ইলেকট্রিক স্কুটারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআরএআই। সূত্র মারফত জানা গেছে, কয়েকটি নির্দিষ্ট সংস্থার মডেলের ক্র্যাশ টেস্ট নেওয়া হয়েছে। যদিও কোম্পানিগুলির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এআরএআই।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ক্র্যাশ টেস্ট চালিয়েছে এআরএআই। এক্ষেত্রে উচ্চগতির ক্যামেরা এবং অ্যাক্সেলেরোমিটারের ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়ির মতো সাইড পোল ইম্প্যাক্ট এবং স্ট্যান্ডার্ড রিজিড বেরিয়ার খতিয়ে দেখা হয়েছে। নিঃসন্দেহে বলা যায় এতে ইলেকট্রিক টু হুইলারের সুরক্ষার বিষয়ে একটি বিধি মেনে চলা হবে। যা আগুন ধরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের দুশ্চিন্তা দূর করবে।

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাস আগে ভারত সরকার ইলেকট্রিক স্কুটারে ব্যবহৃত ব্যাটারির সুরক্ষা বিধি জারি করেছে। কোম্পানিগুলি যাতে অনুন্নত এবং কম দামের ব্যাটারি ব্যবহার করতে না পারে সেজন্যই সরকারের এই পদক্ষেপ। এর আগে এমন অনেক দৃষ্টান্ত উঠে এসেছিল যেখানে দেখা গেছে, কোম্পানিগুলি দ্রুত ইলেকট্রিক টু হুইলার নির্মাণের জন্য বাইরে থেকে ব্যাটারি আমদানি করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে বৈদ্যুতিক টু হুইলারে ক্র্যাশ টেস্ট আবশ্যক করা হলে মানুষের ভরসা বাড়বে। বর্তমানে ভারতের রাস্তায় চলাচল করা মোট যানবাহনের ৫% বৈদ্যুতিক।