ভারতে এলে 80 লক্ষ মানুষ কাজ হারাবে! কোন প্রযুক্তি নিয়ে শঙ্কা? কী ভাবছে মোদি সরকার

বর্তমানে অটোনোমাস বা স্বয়ংচালিত গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক মাতামাতি চলছে। রাস্তা নিজে বুঝে নিয়ে চলবে এমন গাড়ি তৈরি করতে ইতিমধ্যেই নির্মাতাদের মধ্যে ইঁদুর দৌড়…

বর্তমানে অটোনোমাস বা স্বয়ংচালিত গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক মাতামাতি চলছে। রাস্তা নিজে বুঝে নিয়ে চলবে এমন গাড়ি তৈরি করতে ইতিমধ্যেই নির্মাতাদের মধ্যে ইঁদুর দৌড় শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে টেসলা (Tesla)। আর পাঁচটা দেশের মতো তাই বহু ভারতীয় চালকবিহীন গাড়ি কবে দেশে আসবে, সেই কৌতূহলী। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নিয়ে মোদি সরকারের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন। এমন গাড়ি এদেশে চলার অনুমতি পাবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলার যুগে চালকহীন গাড়িতে কেন সায় নেই গডকড়ীর?

কেন্দ্রীয় সড়ক ও হাইওয়ে মন্ত্রী স্বয়ংক্রিয় গাড়ি ভারতে আসার প্রসঙ্গে বলেছেন, “এমন গাড়ি দেশে এলে প্রায় ৮০ লক্ষ চালক কর্মহীন হবেন।” তাই কোনমতেই তিনি এই জাতীয় প্রযুক্তির গাড়ি দেশে পদার্পণের ক্ষেত্রে অনুমতি দেবেন না। আইআইএম নাগপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। সেই মঞ্চ থেকে মন্ত্রী বলেন, “আমি নিজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বলে এসেছিলাম যে আমি কোন মূল্যে ভারতে চালকবিহীন গাড়ির অনুমতি দেব না।”

এমন অবস্থানের নেপথ্যে গডকড়ীর বক্তব্য, “আমাদের দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করেন। তাই স্বয়ংক্রিয় গাড়ি এদেশে এলে কাজ হারাবেন তারা। ফলে আরও এক সমস্যায় পড়তে হবে।” এই প্রথম নয়, এর আগেও নিতিন গডকড়ী স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নিয়ে গররাজি ছিলেন। ২০১৭ জুলাইয়ের পর ২০১৯-এর ডিসেম্বরে আরও একবার এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন গডকড়ী।

তবে এই জাতীয় গাড়ির বিরোধিতা করেননি গডকড়ী। তিনি বলেন, কম জনসংখ্যার দেশে এই জাতীয় গাড়ি আদর্শ হয়ে উঠতে পারে। এদিকে আইআইএম নাগপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ধনকুবের ইলন মাস্কের পৃথিবী বিখ্যাত বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলার ভারতে কারখানা খোলার সম্ভাবনার কথা জানান তিনি। তবে চীনে তৈরি করে তা ভারতের বাজারে বিক্রির ক্ষেত্রে রাজি নন তিনি।