বাংলার ছেলের হাত ধরে রাজ্যে ইলেকট্রিক স্কুটারের কারখানা খুলছে, চাকরি হবে প্রচুর ছেলেমেয়ের

পেট্রোল-ডিজেলের যা দাম, তাতে প্রথাগত জ্বালানির গাড়ি থেকে আমজনতার মুখ ফেরানোর যথেষ্টই সঙ্গত কারণ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দূষণের মাত্রা ইতিমধ্যেই বিপদসীমা পার করেছে।…

পেট্রোল-ডিজেলের যা দাম, তাতে প্রথাগত জ্বালানির গাড়ি থেকে আমজনতার মুখ ফেরানোর যথেষ্টই সঙ্গত কারণ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দূষণের মাত্রা ইতিমধ্যেই বিপদসীমা পার করেছে। যার মধ্যে অন্যতম শিল্পনগরী আসানসোল। উক্ত দু’ক্ষেত্রেই সমাধানের উৎকৃষ্টতম পথ দেখাচ্ছে ব্যাটারিতে চলা যানবাহন। তবে এই জাতীয় গাড়ির দাম বেশি হওয়ায়, অসংখ্য মানুষ বৈদ্যুতিক বাইক ও স্কুটারে আস্থা রাখছেন। বাড়বাড়ন্ত দূষণের কারণে আসানসোলের বহু মানুষ নিত্যদিন যাতায়াতে ইলেকট্রিক টু-হুইলারকে সঙ্গী করে ফেলেছেন। ফলে সেখানে এই ধরনের মডেলের বিক্রিও বাড়ছে লাফিয়ে। এবারে এই আসানসোলের মাটিতে বৈদ্যুতিক দু’চাকা গাড়ির কারখানা তৈরি হতে চলেছে।

আসানসোলে তৈরি হচ্ছে ইলেকট্রিক টু-হুইলারের কারখানা

উত্তরপ্রদেশের বিকিউআই (BQI) নামক এক সংস্থা আসানসোলে তাদের ইলেকট্রিক বাইক ও স্কুটার তৈরির কারখানা খুলতে চলেছে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এ কথা ঘোষণা করেছে তারা। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, বাংলায় এত শিল্পবান্ধব জায়গা থাকতে কারখানা গড়ে তোলার জন্য আসানসোলকেই বা কেন বেছে নেওয়া হল?

এই প্রসঙ্গে বলি, আসানসোলের ভৌগলিক অবস্থান বিচার করলে দেখা যায়, বাংলার এই সীমান্তবর্তী শহরের সাথে ঝাড়খন্ড, এমনকি বিহারের সাথে সহজেই সংযোগ স্থাপন করা সহজ। সেই কারণে শহরটিকে কারখানা গড়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিকিউআই-এর সিইও রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, বাংলায় ইতিমধ্যেই তাঁদের বেশ কয়েকটি শোরুম রয়েছে। এই রাজ্যের পাশাপাশি বিহার ও ঝাড়খন্ডে ও তাদের ইলেকট্রিক বাইক ও স্কুটারের যথেষ্ট চাহিদা।

গুরগাঁওয়ের পর এটি তাদের দ্বিতীয় কারখানা হতে চলেছে। আবার আগামীতে হায়দ্রাবাদে কারখানা নির্মাণে তাঁরা ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন সিনহা। তাঁর দাবি, দাম ও ডিজাইন, উভয়দিক থেকেই বাজার মাত করবে তাদের ব্যাটারি স্কুটি। কোম্পানির এই উদ্যোগে আসানসোলের কয়েকশো কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গের সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার পার্থ প্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি বাঙালি তাই বাংলার প্রতি আমার বিশেষ টান রয়েছে।” বর্তমানে দিল্লীবাসী হওয়া সত্ত্বেও বাংলার প্রতি এই নিবিড় টান থেকেই কারখানা গড়তে আসানসোলকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।