Honda Jazz Facelift এর উপর থেকে পর্দা উঠল, এ দেশে লঞ্চের সম্ভাবনা কতটা?

আন্তর্জাতিক বাজারে উন্মোচিত হল Honda Jazz এর ফেসলিফ্ট সংস্করণ। ভারতের রাস্তায় যথেষ্ট পরিচিত Honda Jazz গাড়িটি আন্তর্জাতিক বাজারে Honda Fit নামেই পরিচিত। বেশ কিছু দেশে ইতিমধ্যেই এর তৃতীয় প্রজন্মের মডেল এসে গিয়েছে। তবে ভারতের বাজারে গাড়িটির সেকেন্ড জেনারেশন উপলব্ধ রয়েছে।

2023 Honda Jazz এ প্রচুর পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো নতুন স্পোর্টস ভ্যারিয়েন্টের সংযুক্তিকরণ। এতে স্টাইলিং ও ট্রিনের নিরিখে অদল-বদল করা হয়েছে। গাড়িটির e:HEV পাওয়ারট্রেনে আপগ্রেডের ফলে ইঞ্জিনের সামগ্রিক ক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে মাইলেজে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছে জাপানি সংস্থাটি।

হোন্ডার এই গাড়িটির নতুন ফেসলিফ্ট ভার্সনে যুক্ত হয়েছে নতুন ভাবে ডিজাইন করা ফ্রন্ট গ্রিল, নতুন ধরনের হেডলাইট সেটআপ, সামনের ও পিছনের বাম্পার সহ বিশেষ রংয়ে রাঙ্গাইত অ্যালয় হুইল। উপরন্তু এই গাড়িটির ক্রসওভার ভার্সন অর্থাৎ Jazz Crosstar মডেলটিতেও বেশ কিছু পরিবর্তন নজরে আসে। যেমন যুক্ত হয়েছে নতুন হানি কোম্ব ডিজাইনের ফ্রন্ট গ্রিল, সিলভার রঙের সামনের বাম্পার যা অন্য ধরনের দৃশ্যানুভূতি তৈরি করে।

এর পাশাপাশি থিমের রঙ সহ অন্যান্য উপকরণের পরিবর্তনও করা হয়েছে এতে। গাড়িটির অ্যাডভান্সড ভার্সনে এই পরিবর্তনগুলি যথেষ্টই নজর কাড়ে। অপর হাতে থাকা Jazz Crosstar মডেলটিতে নতুন ধরনের সিটের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ড্যাশবোর্ড, দরজা, সেন্ট্রাল কনসোল, সবকিছুতেই নতুন ডিজাইনের ছোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। উপরন্তু দুই স্পোক যুক্ত স্টিয়ারিং হুইল যুক্ত হয়েছে এতে।

Honda Jazz এর অ্যাডভান্স স্পোর্টস গ্রেড সংস্করণে এক্সক্লুসিভ আর্বান গ্রেড পেইন্ট স্কিম বেশ আকর্ষণীয়। এই ভার্সনটিতে সামনে নতুন বাম্পার, স্পোর্টি স্টাইলের গ্রিল এবং গ্লস ব্ল্যাক রঙের মিরর সহ ১৬ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল সংযুক্ত করা হয়েছে। ডিজাইনের পরিবর্তনের পাশাপাশি এই গাড়িতে যুক্ত হওয়া নতুন e:HEV প্রযুক্তির দৌলতে পারফরম্যান্স বেশ খানিকটা উন্নত হয়েছে। এতে দুটি বৈদ্যুতিক মোটর সংযুক্ত রয়েছে। যার কারণে পেট্রল ইঞ্জিনটি ১২০.৩৩ বিএইচপি এবং ১৩১ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সমর্থ। হোন্ডা তাদের এই গাড়িটিতে টয়িং হুক (Towing Hook) ব্যবহার করেছে যা দিয়ে ৫০০ কেজি পর্যন্ত ওজন টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

প্রসঙ্গত, Jazz মডেলটির তৃতীয় প্রজন্মের মডেল ভারতের মাটিতে অনুপস্থিত ছিল তার অন্যতম কারণ এর দৈর্ঘ্য ৪ মিটারের বেশি এবং প্ল্যাটফর্মটাই এমন যে তা ছোট করে ৪ মিটারের ছোট করা যাবে না। ফলে সরকারি সুযোগ-সুবিধার যোগ্য না হওয়ার কারণে গাড়িটি ভারতের বাজারে আনলে তার দাম যথেষ্টই ঊর্ধ্বমুখী হবে। এদেশের গাড়ির বাজার বরাবরই যথেষ্ট প্রতিযোগিতামূলক এবং দামের ব্যাপারে বেশ সংবেদনশীল। সেই কারণেই এই নতুন ফেসলিফ্ট ভার্সনটি ভারতবর্ষে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।