ওস্তাদের মার শেষ রাতে! 2022 সালে নিঃশব্দে ভারতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হল এই গাড়ি

মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেড (Maruti Suzuki India Limited) বা এমএসআইএল-এর অন্দরমহলে ২০২২-এর গোটা বছর জুড়ে ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। নিজেদের বিক্রি বাড়ানোতে যেমন তৎপরতা ছিল, পাশাপাশি ছিল নতুন মডেল বাজারে হাজিরের তাগিদ। এদিকে গত বছরের প্রথমার্ধের প্রতি মাসে বেস্ট সেলিংয়ের তকমা নিজের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছিল Maruti Suzuki WagonR। যদিও Maruti Alto K10-এর নয়া ভার্সন লঞ্চের পর উলটপূরাণ ঘটতে দেখা যায়। এরপর কখনও Baleno আবার কখনো Alto K10-এর নাম তালিকার শীর্ষে থাকতে দেখা গিয়েছে। তবে বছরের শেষে ‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে’ দেখিয়ে দিল হ্যাচব্যাক মডেল WagonR।

২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে আপডেটেড মডেলে লঞ্চ হয়েছিল মারুতি সুজুকি ওয়াগনআর। বর্তমানে এর বাজার মূল্য ৫.৪৭ লক্ষ টাকা থেকে ৭.২ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) পর্যন্ত। নতুন বছর শুরু হতেই আগের বছর অর্থাৎ ২০২২-এর সর্বাধিক গাড়ি বিক্রির তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে শীর্ষস্থানে জ্বলজ্বল করছে Maruti WagonR-এর নাম। দেশের মধ্যে একমাত্র মডেল, যার গোটা বছরের বিক্রির অঙ্ক ২ লক্ষ পার করেছে। ২০২২-এ মোট ২,২১,৮৫০ জন ক্রেতার মুখ দেখেছে হ্যাচব্যাকটি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে ভারতের বাজারে প্রথম পথচলা শুরু করেছিল মারুতি সুজুকি ওয়াগনআর। বর্তমানে গাড়িটির তৃতীয় প্রজন্মে বাজারে চলছে। ২০১৯ সালে বড়সড় আপডেট পেয়েছিল এটি। নতুন প্ল্যাটফর্ম এবং নয়া ডিজাইন সহ এসেছিল এটি। আবার কেবিনটি আগের চাইতে বড় করা হয়। বর্তমানে গাড়িটির প্রায় ৩০ লক্ষ ইউনিট মডেল রাস্তায় চলাচল করছে। যে কারণে ভারতের সফলতম গাড়ি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এটি।

Maruti Suzuki WagonR পেট্রোল এবং সিএনজি-এর পাশাপাশি একটি ট্যুর-প্রধান ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ। গাড়িটি ১.০ লিটার থ্রি-সিলিন্ডার পেট্রোল এবং ডুয়েল জেট ডুয়েল ভিভিটি টেকনোলজি সহ ১.২ লিটার ফোর-সিলিন্ডার পেট্রোল – এই দুই ধরনের ইঞ্জিনের বিকল্পে বেছে নেওয়া যায়। প্রথমটি এক লিটার জ্বালানিতে ২৫.১৯ কিলোমিটার পথ চলে। আর ১.২ লিটার ইঞ্জিনটি থেকে ২৪.৪৩ কিলোমিটার মাইলেজ মেলে। এছাড়া, সিএনজি ভার্সনে (LXI ও VXI ট্রিমে উপলব্ধ) ১ কেজি জ্বালানিতে ৩৪.০৫ কিলোমিটার মাইলেজ দেয়।

WagonR-এর ফিচারের তালিকায় উপস্থিত একটি ৭ ইঞ্চি স্মার্টপ্লে স্টুডিও টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম। যাতে নেভিগেশন, ক্লাউড বেস্ড সার্ভিসেস, ডুয়েল ফ্রন্ট এয়ারব্যাগ, ইবিডি সহ এবিএস, রিভার্স পার্কিং সেন্সর, হিল হোল্ড অ্যাসিস্ট, চারটে স্পিকার, মাউন্টেড কন্ট্রোল সহ স্টিয়ারিং হুইল, একটি সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং আরও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য।

অন্যদিকে, গাড়িটির Tour H3 প্যাসেঞ্জার ট্যাক্সি সেগমেন্টের জন্য কমার্শিয়াল মডেলটি পেট্রোল এবং এস-সিএনজি ভার্সনে বিক্রি করা হয়। সলিড হোয়াইট, পুলসাইড ব্লু, ম্যাগমা গ্রে, ম্যাগমা গ্রে/ব্ল্যাক রুফ, সিল্কি সিলভার, নাটমেগ ব্রাউন, গ্যালান্ট রেড, গ্যালান্ট রেড/ব্ল্যাক রুফ – এই আটটি রঙে বেছে নেওয়া যায় গাড়িটি।