Altroz এবার মোহময়ী রূপে, লাল রঙে নতুন Racer এডিশন প্রকাশ করে তাক লাগাল Tata

টাটা মোটরস (Tata Motors) গ্রেটার নয়ডাতে চলতি অটো এক্সটো-তে তাদের নতুন Harrier EV, Sierra EV ইলেকট্রিক গাড়িজোড়া প্রদর্শন করেছে। আবার সেই তালিকায় রয়েছে Curvv ও Avinya EV। এছাড়াও সংস্থাটি আরও পাওয়ারফুল এবং সুন্দর Altroz হ্যাচব্যাকের ওপর থেকে পর্দা সরিয়েছে। নতুন মডেলটির নামকরণ করা হয়েছে – Tata Altroz Racer Edition।

নতুন অলট্রোজ রেসার একটি ১.২ লিটার টার্বোচার্জড পেট্রোল ইঞ্জিনের ছুটবে। যার সাথে সংযুক্ত ৬-স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ার বক্স। এই একই ইঞ্জিন সাবকম্প্যাক্ট এসইউভি (SUV) Nexon-এও উপস্থিত। এই মোটরের আউটপুট ১২০ বিএইচপি এবং ১৭০ এনএম টর্ক। গাড়িটি ভারতে বাজারে উপলব্ধ ১.০ লিটার টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন সহ Hyundai i20 N Line-এর সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতা করবে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ান গাড়িটি থেকে ১১৮ বিএইচপি শক্তি এবং ১৭২ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়।

ডিজাইনের দিক থেকেও অলট্রোজের স্ট্যান্ডার্ড মডেলের সাথে রেসার এডিশনটির ফারাক নজরে পড়ার মতোই। এটি ডুয়েল টোন রেড এবং ব্ল্যাক কালার স্কিম দ্বারা শোভিত করা হয়েছে। আবার এর সম্মুখের বাম্পারটি স্ট্যান্ডার্ড মডেলের চাইতে ভিন্ন। এছাড়া দেওয়া হয়েছে নতুন ডিজাইনের অ্যালয় হুইল, বডি ডেকাল এবং ‘রেসার’ ব্যাজিং। কেবিনের ভেতরে নতুন আপহোলস্টেরি দেওয়া হয়েছে।

কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের মধ্যে উপস্থিত হার্মান-এর ৭.০ ইঞ্চি ফ্লোটিং টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপেল কারপ্লে কানেক্টিভিটি, ক্রুজ কন্ট্রোল, পুশ বাটন স্টার্ট, রিয়ার ক্যামেরা ডিসপ্লে, আইডল স্টার্ট-স্টপ, একটি ৭.০ ইঞ্চি টিএফটি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। এছাড়া রয়েছে রিয়ার সেন্টার আর্মরেস্ট, ড্রাইভার সিট হাইট অ্যাডজাস্ট, লেদারে মোড়ানো স্টিয়ারিং এবং গিয়ার লিভার, রিয়ার পার্কিং সেন্সর, ইবিডি সহ এবিএস, সেন্ট্রাল লকিং এবং রিয়ার ফগ ল্যাম্প।

এদিকে গাড়ি মেলায় টাটা Altroz হ্যাচব্যাকের সিএনজি ভ্যারিয়েন্ট উন্মোচন কফেছে। খুব শীঘ্রই এর বৈদ্যুতিক ভার্সন লঞ্চের পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। যাতে ব্র্যান্ডের জিপট্রন টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে। একটি পার্মানেন্ট ম্যাগনেট এসি মোটরের ওপর ভিত্তি করে আসবে গাড়িটি। সিঙ্গেল স্পিড গিয়ারবক্সের মাধ্যমে সামনের চাকায় শক্তি সঞ্চারিত করা হবে। ইলেকট্রিক হ্যাচব্যাক মডেলটি সিঙ্গেল চার্জে ২৫০ থেকে ৩০০ কিমি রেঞ্জ প্রদান করবে বলে আশা করা যায়। আবার একটি ডিসি ফাস্ট চার্জার দ্বারা এক ঘন্টায় ৮০ শতাংশ চার্জ করা যাবে।