Airtel গ্রাহকদের জন্য দুঃসংবাদ, ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ছে প্ল্যানের

গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে মার্কেটে জোর গুঞ্জন রটেছিল যে, টেলিকম কোম্পানিগুলি তাদের রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়াতে চলেছে। সেক্ষেত্রে ২০২২ সালের শেষের দিকে দুটি সার্কেলে প্রিপেইড প্ল্যানের দাম বৃদ্ধি করে সেই দাবিকে নিশ্চিত করেছিল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর Airtel। শুধুমাত্র হরিয়ানা এবং ওড়িশায় ন্যূনতম প্ল্যানের দাম একলাফে ৫৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থাটি, যার ফলে এই দুই রাজ্যেই Airtel-এর সবচেয়ে সস্তা ২৮ দিনের প্ল্যানের দাম ৯৯ টাকা থেকে বেড়ে একধাক্কায় হয়েছিল ১৫৫ টাকা। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই পরবর্তীকালে অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দাদের মাথায়ও বাজ পড়ার সম্ভাবনা যে প্রবল, তা আঁচ করছিলেন অনেকেই। আর চলতি বছরের একদম গোড়াতেই সেই আশঙ্কা সত্যি হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন Airtel-এর সিইও সুনীল মিত্তল (Sunil Mittal)।

খুব শীঘ্রই প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়াতে পারে Airtel

মানি কন্ট্রোল (Money Control)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, হালফিলে মি. মিত্তল জানিয়েছেন যে, চলতি বছরের শুরুতেই গোটা দেশে এয়ারটেলের প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়তে পারে। সুনীলের মতে, বর্তমানে ইউজার প্রতি গড় আয় বা এআরপিইউ (ARPU) বাড়িয়ে মাসে ৩০০ টাকা করা একান্ত আবশ্যক। যদিও এর ফলে ব্যবহারকারীদের পকেটের ওপর খুব বেশি চাপ পড়বে না বলেই জোর গলায় দাবি করেছেন তিনি; তবে আখেরে প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যানের দাম যে বাড়ছে, সেকথা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য যে, শুধু এয়ারটেলই নয়, দেশের অন্যান্য বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলিও এই একই পথে পা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ সকলেরই মতে, এআরপিইউ না বাড়ালে লাভের মুখ দেখা তথা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সামগ্রিক ব্যবসায়িক উন্নতি একপ্রকার অসম্ভব বললেই চলে। তাই ইউজাররা নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারেন যে, চলতি বছরে ট্যারিফ প্ল্যানের জন্য তাদেরকে পকেট থেকে অতিরিক্ত গাঁটের কড়ি খসাতে হবে।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, ২০২২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এয়ারটেলের এআরপিইউ ছিল ১৯০ টাকা। জানা গিয়েছে, সে সময়ে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio)-র ব্যবহারকারী পিছু গড় আয় ছিল ১৭৭.২ টাকা, এবং ভোডাফোন আইডিয়া (Vodafone Idea) বা ভিআই (Vi) ১৩১ টাকা এআরপিইউ সহ তালিকায় সবার শেষে ছিল। সেক্ষেত্রে এবার যদি এয়ারটেল মাসে ৩০০ টাকা এআরপিইউ ধার্য করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আগামী দিনে প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যানের দাম বেশ খানিকটা বাড়বে বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে। অনেকেই মনে করছেন যে, মূল্যবৃদ্ধির পর এয়ারটেলের প্ল্যানের দামই সবথেকে বেশি হবে। এবার বাস্তবে ঘটনাটা ঠিক কী ঘটবে, সেটা একমাত্র সময়ই বলতে পারবে।

সাশ্রয়ী মূল্যে এদেশে লঞ্চ হতে পারে 5G রিচার্জ প্ল্যান

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, যেহেতু Airtel এবং Jio ভারতের বিভিন্ন শহর জুড়ে 5G সার্ভিসের কভারেজ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে, তাই আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সংস্থাদ্বয়ের 5G প্ল্যান লঞ্চ হবে বলে আশা করা যেতে পারে। উল্লেখ্য যে, বিগত ৩ মাস ধরে সারা ভারতে নিজেদের 5G পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে চরম ব্যস্ত রয়েছে কোম্পানি দুটি। তবে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সেলুলার নেটওয়ার্কের আগমন ঘটলেও 5G প্ল্যানের জন্য ভারতীয়দের কত টাকা খসাতে হবে, সে সম্পর্কে এখনও টেলিকম সংস্থা দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে ভারত সরকার ইতিমধ্যেই আপামর দেশবাসীকে নিশ্চিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, সাশ্রয়ী মূল্যে এদেশে লঞ্চ হবে 5G রিচার্জ প্ল্যান। উল্লেখ্য যে, Airtel-ও এ ব্যাপারে পুরোপুরিভাবে সায় দিয়েছে। আবার, Jio বেশ জোর গলায় দাবি করেছে যে, 4G-র মতোই অন্যান্য টেলিকম কোম্পানিগুলির তুলনায় অপেক্ষাকৃত সস্তায় তারা ইউজারদেরকে 5G প্ল্যান অফার করবে। তবে এ ব্যাপারে Vodafone Idea-র তরফে এখনও কোনো সুনিশ্চিত বিবৃতি পাওয়া যায়নি।