কে বলবে সেকেন্ড হ্যান্ড! মাত্র 6 লাখে Mercedes, BMW-র একদম নতুনের মতো ঝাঁ চকচকে গাড়ি

বিগত কয়েক বছর ধরে চলা সমীক্ষা অনুযায়ী হাত ফেরতা বিলাসবহুল গাড়িগুলির বিক্রি শেষ ৪-৫ বছরে যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ির বাজারে কান পাতলে অন্তত এমনই খবর শোনা যায়। একটি ভালোমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা এই জাতীয় বিলাসবহুল গাড়ির সেকেন্ড হ্যান্ড মডেলের দাম নতুন গাড়ির প্রায় অর্ধেক বা তারও কম। এর অন্যতম কারণ হলো সাধারণ গাড়িগুলি তুলনায় বিলাসবহুল দামি গাড়িগুলির দাম ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গেই খুব দ্রুত গতিতে হ্রাস পায়। আর তাই আকর্ষণীয় মূল্যে প্রিমিয়াম সেগমেন্টের গাড়িগুলি কেনার লোভ অনেকেই সামলাতে পারেন না।

সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে বেশকিছু দামি গাড়ির সেকেন্ড হ্যান্ড মডেল আকর্ষণীয় কম দামে বিক্রির কথা জানানো হয়েছে। এই ভিডিওর শুরুতেই দেখা যাচ্ছে একটি Mercedes-Benz E-Class লাক্সারি সেডান একটি গাড়িকে। পার্ল হোয়াইট রঙের গাড়িটি উপর থেকে দেখে যথেষ্ট রক্ষণাবেক্ষণ সমৃদ্ধ বলেই মনে হচ্ছে। গাড়ির বডি প্যানেলে সেরকম ধরনের কোনো বড় স্ক্র্যাচ কিংবা আঘাতের চিহ্ন নেই বললেই চলে। প্রজেক্টর হেড ল্যাম্প, এলইডি ডিআরএল, সামনে ও পিছনের পার্কিং সেন্সর, কোম্পানির নিজস্ব অ্যালয় হুইল, এলইডি টেল লাইট, কালো রঙের উপরের অংশ, রিভার্স পার্কিং ক্যামেরা এবং আরো অনেক কিছু রয়েছে এতে।

গাড়িটির ভিতরে রয়েছে বেজ ও ব্রাউন রংয়ের কম্বিনেশনের সিট। এছাড়াও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইনফোটেনমেন্ট স্ক্রিন, ক্লাইমেট কন্ট্রোল, মাল্টি ফাংশন স্টিয়ারিং হুইল, ক্রুজ কন্ট্রোল, ইলেকট্রিক এডজাস্টেবল সিট, লেদার সিট কভার, ইলেকট্রিক সানরুফ এবং আরো অনেক কিছু। উত্তরপ্রদেশে রেজিস্টার করা এই গাড়িটি ২০১৭ সালে কেনা ডিজেল অটোমেটিক সংস্করণ। এখনো পর্যন্ত ৬৪,০০০ কিলোমিটার চলেছে এটি। দাম রাখা হয়েছে ৪২ লাখ টাকা।

এরপরই রয়েছে BMW X1 SUV। সম্পূর্ণ কালো রঙের এই গাড়িটির গায়ে সামান্য কিছু ঘষা খাওয়ার দাগ আছে। কোম্পানির নিজস্ব অ্যালয় হুইল, এলইডি টেলল্যাম্প, রিভার্স পারকিং সেন্সর সহ সমস্ত কিছুই এতে বিদ্যমান। গাড়িটির ভেতরে কালো ও বেজ রঙের ডুয়েল টোন পেইন্ট স্কিম চোখে পড়ে। এছাড়াও কোম্পানির নিজস্ব মিউজিক সিস্টেম, অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল, ক্রুজ কন্ট্রোল সমস্ত কিছুই রয়েছে এতে। ভেতরের অংশটি দেখে যথেষ্ট পরিপাটি ও সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে বলেই মনে হয়। ২০১২ সালের ডিজেল অটোমেটিক এই সংস্করণটি রাজধানী দিল্লিতে রেজিস্টার করা মডেল। এখনো পর্যন্ত গাড়িটি ৮২,০০০ কিলোমিটার পথ যাত্রা করেছে। মডেলটির দাম নির্ধারিত হয়েছে ৫.৯৫ লাখ টাকা।

তৃতীয় গাড়িটি হলো Mercedes-Benz GLA SUV। এই গাড়িটিও সম্পূর্ণ কালো রংয়ের থিমের উপর নির্মিত। এসইউভি মডেলটিতে প্রজেক্টর হেডলাইট, এলইডি ডিআরএল, কোম্পানির লাগানো অ্যালয় হুইল, এলইডি টেলল্যাম্প সহ সমস্ত কিছুই বর্তমান। ভেতরে সিটে ব্ল্যাক ও বেজ রংয়ের ডুয়েল টোন কাজ রয়েছে। এছাড়াও ইলেকট্রনিক অ্যাডজাস্টেবল সিট, পাওয়ার উইন্ডো, মাল্টি ফাংশন স্টিয়ারিং হুইল, লেদার সিট কভার, কোম্পানির লাগানো ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল, প্যানোরামিক সানরুফ ইত্যাদির মত বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেকেন্ড হ্যান্ড এই গাড়িটিতে। মডেলটি ২০২০ সালে কেনা অটোমেটিক পেট্রোল সংস্করণ। গাড়িটির আসল রং সাদা হলেও বর্তমানে এটি কালো রঙে আচ্ছাদিত। বর্তমানে গাড়িটি দ্বিতীয় মালিকের আওতায় রয়েছে। ওডোমিটার অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ৫৪,০০০ কিলোমিটার চলেছে এটি। ভিডিওতে গাড়িটির দাম বলা হয়েছে ১৮.২৫ লাখ টাকা।

একদম শেষে রয়েছে BMW 3 সিরিজের একটি সেডান মডেল। দুধসাদা রঙের এই সেডান গাড়িটিতে তুচ্ছ কয়েকটি আঁচড় নজরে আসে। সাথে রয়েছে কোম্পানির লাগানো অ্যালয় হুইল, এলইডি টেললাইট, রিভার্স পারকিং সেন্সর, বেজ রং এর ইন্টেরিয়ার, মাল্টি ফাংশন স্টিয়ারিং হুইল, ক্রুজ কন্ট্রোল, লেদার সিট কভার, কোম্পানির নিজস্ব ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, ইলেকট্রনিক্যালি অ্যাডজাস্টেবল ড্রাইভার সিট এবং আরো অনেক কিছু। গাড়িটির অন্দরমহল যথেষ্ট পরিপাটি অবস্থায় রয়েছে। ২০১৩ সালের ডিজেল অটোমেটিক সেডান সংস্করণের এই গাড়িটি দিল্লিতে রেজিস্টার করা রয়েছে। এখনো পর্যন্ত ৮৪,০০০ কিলোমিটার চলা এই গাড়িটির দাম নির্ধারিত হয়েছে ৬.৭৫ লাখ টাকা।