Electric Car: সেফটিতেও ফেল ইলেকট্রিক গাড়ি, ক্র্যাশ টেস্টে গোল্লা পেয়ে বাড়াল চিন্তা

তা সে আইসিই হোক বা জীবাশ্ম – গাড়ি মাত্রই সুরক্ষিত হওয়া জরুরী। দিনকে দিন যানজট যে হারে বেড়ে চলেছে, এর সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পথ…

তা সে আইসিই হোক বা জীবাশ্ম – গাড়ি মাত্রই সুরক্ষিত হওয়া জরুরী। দিনকে দিন যানজট যে হারে বেড়ে চলেছে, এর সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা। তাই বহু ক্রেতা ইদানিং গাড়ির সেফটি ফিচার্সে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে গ্লোবাল এনক্যাপ-এর (Global NCAP) ক্র্যাশ টেস্টে মুখ থুবড়ে পড়ল ইলেকট্রিক হ্যাচব্যাক Citroen eC3। প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীদের জন্য 0-স্টার রেটিং নিয়ে ডালা ফেল করল মডেলটি। যেখানে শিশু-যাত্রীদের ক্ষেত্রে মাত্র ওয়ান স্টাররেটিং অর্জন করতে পেরেছে।

GNCAP ক্র্যাশ টেস্টে মুখ থুবড়ে পড়ল Citroen eC3

BNCAP লঞ্চের পর এদেশে বিক্রিত বেশিরভাগ গাড়ির সুরক্ষা যাচাই হবে ভারতেই। তার আগে GNCAP-এ যেতেই Citroen eC3-এর বেহাল দশার কথা সকলের সামনে এলো। প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীদের জন্য 34-এর মধ্যে এর প্রাপ্ত নম্বর মাত্র 20.86। তাই একটি তারাও অর্জন করতে পারেনি। সামনে থেকে আসা অভিঘাতে চালক ও সামনের যাত্রীর মাথা ঘাড় ঠিকঠাক থাকলেও, বুকের অবস্থা অতি শোচনীয় দেখা গেছে। এমনকি হাঁটুর অবস্থাও খুব একটা আশাজনক ছিল না।

GNCAP-এর সাইড ইমপ্যাক্ট টেস্টে মাথার অবস্থা মোটামুটি ছিল। কিন্তু বুকের অবস্থা তুলনামূলক ভালো থাকতে দেখা যায়। আবার পেট ও কোমরের অংশের ক্ষয়ক্ষতি সেভাবে নজরে পড়েনি। Citroen eC3-তে সাইড এয়ার ব্যাগ অনুপস্থিত। আবার ইলেকট্রনিক স্টেবিলিটি কন্ট্রোল বিধি মেনে দেওয়া হয়নি।

শিশু যাত্রীদের ক্ষেত্রে 49-এর মধ্যে মাত্র 10.55 নম্বর পেয়েছে এই গাড়ি। এতে করে 1-স্টার পেয়েছে গাড়িটি। এদিকে এই ক্র্যাশ টেস্টের প্রসঙ্গে জিএনক্যাপের বক্তব্য যে, Citroen eC3 সামনে থেকে আসা প্রতিঘাত সহ্য করতে ততটা সক্ষম নয়।