Flying Car: উড়ন্ত ট্যাক্সি চক্কর কাটছে আকাশে, যানজট থেকে মুক্তির দিন কাছেই! দেখুন ভিডিও

সেই দিন আর খুব বেশি দেরি নেই, যেদিন মানুষ কাছেপিঠের গন্তব্যে পৌঁছতেও ফ্লাইং কার বা উড়ন্ত গাড়ি ব্যবহার করবে। এখন বিশ্বের বহু সংস্থাই দিনপাত করে চলেছে শুধু এমন যান বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে আনতে। সে পথে একধাপ এগিয়ে এবার চীনা সংস্থা এক্সপেং ইঙ্ক (XPeng Inc) তাদের উড়ুক্কু বৈদ্যুতিক ট্যাক্সি গাড়ি সর্বপ্রথম জনসমক্ষে আকাশে উড়িয়ে দেখাল। XPeng X2 নামের উড়োযানটির ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। দুবাইয়ের আকাশে এটির মহড়া চালানো হয়েছে। শহরের যানজটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পরিবেশে কোনরকম দূষণ সৃষ্টি না করে উড়ে যাবে বৈদ্যুতিক গগনযানটি।

এই উড়ন্তযানটি সমগ্র বিশ্বজুড়ে চলা ডজন খানেক প্রকল্পের মধ্যে একটি। যার মধ্যে মাত্র কয়েকটি মডেলের যাত্রী সহ সফলভাবে পরীক্ষা চালানো গিয়েছে। উল্লেখ্য, এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম উড়ন্ত গাড়ির কোম্পানি এক্সপেং। দুবাইয়ে চলা ‘গিটেক্স গ্লোবাল’-এ গাড়িটির উন্মাচন করা হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা গেছে, এতে দুইজন যাত্রী বসার ব্যবস্থা আছে।

স্লিক ডিজাইনের XPeng X2-তে রয়েছে আটটি প্রপেলার। সংস্থাটি বলেছে তাদের গগনযানটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৩০ কিমি। যেহেতু বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে এটি একটি ইলেকট্রিক ভার্টিক্যাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং ভেহিকেল বা eVTOL, তাই এরোপ্লেন বা হেলিকপ্টারের মতো ওঠা নামার আলাদা জায়গার প্রয়োজন নেই। যে কোনো স্থান থেকে সোজাসুজি উপরে উঠতে পারে, আবার শূন্যের এক স্থানে ভেসেও থাকতে সক্ষম।

পাইলট বা চালক বিহীন গাড়িটি একদিন জনবহুল রাস্তার উপর দিয়ে যাত্রীদের নির্ঝঞ্ঝাটে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারবে বলে আশাবাদী এক্সপেং। যদিও সংস্থার সামনে এখন বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন ব্যাটারি লাইফ, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, সুরক্ষা এবং পরিকাঠামোগত সমস্যা। এদিকে গত মে মাসে ভারতের বিমান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছিলেন ভারতের আকাশে eVTOL চালু করা হবে। আমেরিকা এবং কানাডায় ট্রায়াল শেষ হলেই তা এদেশে আসবে।