ইউরোপের পর এবার অস্ট্রেলিয়াতে ভারতে তৈরি ফোল্ডেবল ই-বাইক রপ্তানি করছে EMotorad

ভারতের ইলেকট্রিক ভেহিকেল স্টার্টআপ ইমোটোরাড (EMotorad) অস্ট্রেলিয়ার বাজারে ইলেকট্রিক বাইক রপ্তানি করল। যেগুলির প্রতিটিই ফোল্ডেবল ফিচার যুক্ত। অর্থাৎ ভাঁজ করা যায়। যার অন্যতম সুবিধা পার্কিং স্পট নিয়ে ভাবতে হয় না। প্রথম ব্যাচে ২০০টি এমন ব্যাটারি চালিত ফোল্ডেবল বাইক এক্সপোর্ট হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সংস্থার সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা কুণাল গুপ্ত।

EMotorad-এর ই-বাইক Doodle v2

ইমোটোরাড-এর ফোল্ডেবল ইলেকট্রিক বাইক Doodle v2 খুব সহজে ভাঁজ করে গাড়ির ডিকিতে নিয়ে যাওয়া যায়। ভারতে এর দাম ৪৯,৯৯৯ টাকা। ই-বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার এবং ব্যাটারির রেঞ্জ ৫৫ কিলোমিটার।

২০২০-তে রাজীব গঙ্গোপাধ্যায়, কুণাল গুপ্ত, আদিত্য ওঝা এবং সুমেধ – এই চারজন মিলে পুণেতে ইমোটোরাডের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে তাদের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৯০,০০০ ইউনিট। সংস্থার লাইনআপে বিভিন্ন রেঞ্জের বাইক রয়েছে। দাম ২৪,৯৯৯ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা (আলট্রা-প্রিমিয়াম ই-বাইক) পর্যন্ত গিয়েছে। বর্তমানে কোম্পানির ৭০ শতাংশ আয় এবং ৬০ শতাংশ বিক্রি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আসে।

বিভিন্ন দেশে EMotorad-এর ই-বাইক রপ্তানির পরিকল্পনা

ইমোটোরাড হল প্রথম ভারতীয় ই-বাইক কোম্পানি, যারা ইউরোপের বাজারে পদার্পণ করেছে। আবার সংস্থাটি জাপান, আরব এবং নেপালের বাজারেও টু-হুইলার রপ্তানি করে। আবার ইতালি, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স এবং আমেরিকার বাজারেও পা রাখার পরিকল্পনা করছে তারা।

বিদেশের পাশাপাশি নিজের দেশেও ব্যবসার সম্প্রসারণের ধারা অব্যাহত রেখেছে ইমোটোরাড। এবছর জানুয়ারিতে সস্তার এবং আল্ট্রা-প্রিমিয়াম রেঞ্জের ই-বাইক লঞ্চ করা হয়েছিল। যেগুলি প্রত্যাশিত সময়ের আগেই বিক্রি হয়ে যায় বলে জানান সংস্থার সিইও। মাত্র ২০ দিনে ৩০০০ ইউনিট সস্তার ই-বাইক মডেল বিক্রি করে কোম্পানি।

প্রসঙ্গত, ইলেকট্রিক বাইসাইকেলের দুনিয়ায় ভারতের বাজারে নেতৃত্ব প্রদান করে হিরো সাইকেলস (Hero Cycles)। প্রতি মাসে গড়ে ৩,০০০-৪,০০০ ইউনিট বিক্রি হয় তাদের। এবছর দিওয়ালির মধ্যে বিক্রির এই সংখ্যাকে টপকে যাওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে ইমোটোরাড। বর্তমানে সংস্থার মাসিক বিক্রির গড় ২,৫০০। এদিকে ২০২১-২২-এ ১৮,০০০ ইউনিট বেচাকেনার পর ২০২২-২৩ আর্থিকবর্ষে ৫১,০০০ ইউনিটের কাছাকাছি বিক্রি হয়েছিল। এ বছর ইলেকট্রিক বাইসাইকেল বিক্রি করে ১৪৫ কোটি আয়ের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তারা।