বাড়বে সাশ্রয়, পকেটের চাপ কমাতে দু’রকম জ্বালানি চালিত নতুন Pulsar লঞ্চ করল Bajaj

এপ্রিল, ২০২৩-এর প্রথম দিন থেকেই সমগ্র ভারতে নয়া নির্গমন বিধি OBD2 চালু হয়েছে। বলাই বাহুল্য, এবার থেকে যে কোন যানবাহন বিক্রয় করার ক্ষেত্রে উক্ত বিধি অবশ্যই মানতে হবে। তাই দেশের অন্যতম টু-হুইলার নির্মাতা বাজাজ অটো OBD2 এবং E20 জ্বালানির Pulsar N160 লঞ্চ করল। যেগুলি ইতিমধ্যেই বাজারে ছাড়তে আরম্ভ করেছে বাজাজ। বিভিন্ন ডিলারশিপে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে মোটরসাইকেলটি। নয়া মডেলের দাম ১,২৯,৬৪৫ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হয়েছে।

2023 Bajaj Pulsar N160 আপডেট

পরিবর্তন বলতে নতুন Bajaj Pulsar N160-তে কেবলমাত্র ওবিডি২ পালনকারী ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। এই অন বোর্ড ডায়াগনস্টিক সিস্টেমটি প্রতি মুহূর্তে নির্গমনের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে অবগত করবে। এমনকি ড্যাশবোর্ডের ইন্ডিকেটরে কোন সমস্যা দেখা দিলে সেটি জানান দেবে ব্যবহারকারীকে। আবার মোটরসাইকেলটি ৮০ শতাংশ পেট্রোলের সাথে ২০ শতাংশ ইথানলের মিশ্রিত জ্বালানিতে চলতে সক্ষম হবে।

২০২৩ বাজাজ পালসার এনএস১৬০ এর পারফরম্যান্স অপরিবর্তিত। ফলে আগের মতই একটি ১৬৪.৮২ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুল্ড ইঞ্জিনে ছুটবে বাইকটি। ৫-স্পিড গিয়ারবক্স যুক্ত মোটর থেকে ৮,৭৫০ আরপিএম গতিতে ১৫.৬৮ বিএইচপি এবং ৬,৭৫০ আরপিএম গতিতে ১৪.৬৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে।

2023 Bajaj Pulsar N160 ডিজাইন

২০২৩ পালসার এন১৬০ টুইন-ডিআরএল সহ একটি সিঙ্গেল পড প্রোজেক্টর স্টাইল হেডলাইট, একটি বডি কালারের হেডল্যাম্প কাউল, কালার ম্যাচিং ফ্রন্ট-ফেন্ডার, একটি ইঞ্জিন কাউল এবং স্প্লিট স্টাইল সিট সহ এসেছে। আবার বোল্টেড ফুয়েল ট্যাঙ্ক পেশীবহুল দর্শনে অবদান রেখেছে। এছাড়া এতে উপস্থিত এগজস্ট ক্যানিস্টার এবং ১৭ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল। তিনটি রঙের বিকল্পে বেছে নেওয়া যাবে বাইকটি – ব্রুকলিন ব্ল্যাক, রেসিং রেড এবং ক্যারিবিয়ান ব্লু।

2023 Bajaj Pulsar N160 ফিচার্স

Pulsar N160-এর ফিচার হিসাবে রয়েছে এলইডি হেডলাইট, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, অ্যানালগ ট্যাকোমিটার। সাথে এই সেগমেন্টের প্রথম ফিচার হিসাবে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস দেওয়া হয়েছে। তবে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সমেত ভ্যারিয়েন্টটি কেবলমাত্র ব্রুকলিন ব্ল্যাক কালারে বেছে নেওয়া যাবে।

2023 Bajaj Pulsar N160 হার্ডওয়্যার

ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে Bajaj Pulsar N160-এর সামনে ও পিছনে যথাক্রমে ৩০০ মিমি ও ২৩০ মিমি ডিস্ক ব্যবহার করা হয়েছে। সামনে ১০০/৮০ সেকশন ও পিছনে ১৩০/৭০ সেকশনের টায়ার সহ এসেছে বাইকটি। আবার ৩৭ মিমি ফ্রন্ট ফর্ক ও পিছনে মনোসক অ্যাবজর্ভার দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস এবং ডুয়েল চ্যানেল এবিএস মডেল দুটির ওজন যথাক্রমে ১৫২ কেজি ও ১৫৪ কেজি।