Gogoro Supersport: ভারতের জন্য গোগোরোর ছিমছাম বৈদ্যুতিক স্কুটার, 100km রেঞ্জ, লঞ্চ কবে

তাইওয়ানের ইলেকট্রিক টু-হুইলার সংস্থা গোগোরো (Gogoro) শীঘ্রই ভারতের বাজারে পদার্পণ করতে চলেছে। তার প্রস্তুতি জোড়কদমে শুরু করে হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতের লাস্ট মাইল ডেলিভারি স্টার্টআপ জিপ ইলেকট্রিক (Zypp Electric)-এর সাথে গাঁটছড়া বেঁধে এদেশে বিজনেস-টু-বিজনেস (B2B) সেগমেন্টে তাদের 2 Series স্কুটারটির পাইলট প্রোজেক্ট শুরু করেছে। আর বিজনেস-টু-কনজিউমার অর্থাৎ সাধারণ ক্রেতাদের জন্যও একটি ই-স্কুটার প্রদর্শন করেছে তারা। যদিও সেটি চূড়ান্ত মডেল নয়। আপাতত পাইলট প্রোগ্রাম চালাবে সংস্থা।

ডিজাইনের দিক থেকে Gogoro SuperSport খুবই সাধারণ, কিন্তু আকর্ষণীয়। কাছ থেকে দেখলেও এর সমগ্র দেহে কোনো স্ক্রু বা রিবেটের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাবে না। বডি প্যানেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ শক্তিশালী চুম্বক দ্বারা যুক্ত। যে কারণে প্যানেল থেকে রেডিয়েটার তরল বের করা অথবা অন্যান্য মেরামতির কাজ করা বেশ সহজদায়ক।

SuperSport-এর সামনে রয়েছে ওষুধের বড়ির আকৃতির এলইডি ডিআরএল সহ হেডলাইট। এর সাথে সংযুক্ত কম্প্যাক্ট এলইডি ইন্ডিকেটর। টেল লাইটটি স্লিক ডিজাইনের এবং এর সাথেও ইন্ডিকেটর রয়েছে। এতে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোলের দেখা মিলেছে। ডিম্বাকৃতি এই ডিসপ্লেতে ব্যাটারি পার্সেন্টেজ, রেঞ্জ, ক্লক, স্পিডোমিটার এবং রাইড মোডের তথ্য ভেসে উঠবে।

স্কুটারটির স্মার্ট বাটন দ্বারা চারটি রাইডিং মোড পরিবর্তিত করা যাবে। আবার বাটনের মাধ্যমে ক্রুজ কন্ট্রোল ও সিট খোলা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। সবচেয়ে আকর্ষণের বিষয় হল এতে কোনো চাবি নেই। একটি কার্ডের মাধ্যমে স্কুটারটি চালু করা যাবে। রিডারের উপর সেই কার্ড ছোঁয়ানো মাত্রই স্কুটারটি সক্রিয় হয়ে উঠবে। এতে রয়েছে দুটি সোয়াপেবেল ব্যাটারি।

SuperSport-এর সিটের নিচে ২৫ লিটার স্টোরেজ। চলার শক্তি যোগাতে এতে রয়েছে একটি লিকুইড কুল্ড মিড মাউন্টেড মোটর। যা থেকে ৩,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ৭.৬ কিলোওয়াট শক্তি এবং ৩,০০০ আরপিএম গতিতে ২৮ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ফুল চার্জে ১০০ কিমি চলতে পারবে। এর সামনে রয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনে ডুয়েল শক সাসপেনশন সেটআপ। দু’চাকায় ডিস্ক ব্রেক সহ রয়েছে কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেম। স্কুটারটি অফিশিয়ালি কবে লঞ্চ হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো নিশ্চিত বার্তা আসেনি।