সম্পূর্ণরূপে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার পথে অগ্রসর Harley Davidson

বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির সুদূরপ্রসারী সম্ভাবনা দেখে বড় ইঞ্জিনের টু-হুইলার উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিও তাদের দীর্ঘদিনের ধ্যানধারণা থেকে সরে আসতে চাইছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় কিংবদন্তি টু-হুইলার ব্র্যান্ড হার্লে-ডেভিডসন (Harley-Davidson)-এর কথা। বেশি ডিসপ্লেসমেন্ট যুক্ত বাইক নির্মাণের জন্য সুখ্যাত কোম্পানিটি এতদিন কেবল পেট্রোলকে জ্বালানি হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে এলেও এবারে সে পথ থেকে সরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করল। মার্কিন সংস্থাটির সিইও এবং চেয়ারম্যান জোচেন জেটস (Jochen Zeitz) ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার কথা জানালেন। যদিও সংস্থার তরফে এর জন্য কোন নির্দিষ্ট সময়সীমার উল্লেখ করা হয়নি। আশা করা হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তাদের প্রতিটি বাইক হবে ব্যাটারি পরিচিলিত।

বিগত কয়েক বছর ধরেই আমেরিকার সংস্থাটি তাদের মোটরবাইক বৈদ্যুতায়নের রূপরেখা চালু করে দিয়েছে। ধীর গতিতে হলেও এক্ষেত্রে তারা অবিচল। হার্লে-ডেভিডসনের প্রথম বৈদ্যুতিক বাইক হিসেবে Livewire বাজারে এসেছিল। যার উন্নয়নে অনেক বছর অতিবাহিত করতে হয়েছে। উচ্চ মূল্য হওয়া সত্ত্বেও বাইকটির প্রতি ক্রেতাদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতোই। তবে চড়া দাম বিক্রির সংখ্যায় জোয়ার আসতে বাধা সৃষ্টি করছে।

হার্লে-ডেভিডসনের সম্পূর্ণ ব্যাটারিচালিত টু-হুইলার উৎপাদনকারী সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশের বিষয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান এবং সিইও জোচেন জেটস বলেন, “কোন এক সময় আমাদের সংস্থা সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক টু-হুইলার নির্মাতা হয়ে উঠবে। এর জন্য বেশ কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। রাতারাতি কিছু হওয়ার নয়।” জেটস যদিও এর জন্য নির্দিষ্ট করে সময়ের উল্লেখ করেননি।

লাইভওয়্যার হল হার্লে-ডেভিডসনের একটি স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড। যার আওতায় প্রথম বাইক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে LiveWire One। এর মূল্য ২১,৯৯৯ ডলার।ভারতীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৭.৯৩ লক্ষ টাকা। আবার সংস্থার পরবর্তী ইলেকট্রিক মডেল হিসেবে আসতে চলেছে S2 Del Mar। এটি তাদের মাঝারি ওজনের মোটরসাইকেল হিসেবে বাজারে পা রাখবে। এদিকে কিমকো (Kymko)-র সাথে হার্লে-ডেভিডসনের যৌথভাবে হালকা ওজনের S3 নির্মাণের কথা জানা গেছে। এরপর আনা হতে পারে ব্যাটারি চালিত ভারি ওজনের S4 ইলেকট্রিক বাইক।