আর ভরতে হবে না পেট্রল, Honda Activa-কে ইলেকট্রিক বানিয়ে নিন, এক চার্জে ছুটবে 120 কিমি

যত দিন যাচ্ছে ভারতীয়দের কাছে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের কদর ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার অন্যতম কারণ কম খরচে চলাচলের সুবিধা। একই সাথে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় নেই বললেই চলে। ব্যাটারি চালিত যানবাহনের মধ্যে বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ির বিক্রি সবচেয়ে বেশি। যা দেখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টু-হুইলার কোম্পানি হোন্ডা ২০২৪-এর মার্চে Activa Electric লঞ্চের কথা জানিয়েছে। ততদিন যদি ধৈর্য না কুলায়, তবে আপনি এখনই অ্যাক্টিভার পেট্রোল মডেলকে বৈদ্যুতিক ভার্সনে রূপান্তরিত করতে পারেন। ভাবছেন কীভাবে সম্ভব? আসুন দেখে নেওয়া যাক।

অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরের এক ইউটিউবার তাঁর আইসিই মডেলের Activa-কে সম্প্রতি ইলেকট্রিক ভার্সনে পরিবর্তিত করেছেন। রূপান্তরের সমগ্র প্রক্রিয়া খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। যা দেখে এটি যে একট পেট্রল মডেল ছিল, সেই সম্পর্কে ধারনা করা কঠিন। শুধু গ্রীন ডেকাল ও ইভি ব্যাজ থাকলেই ষোলোকলা পূরণ হয়ে যেত।

পেট্রল চালিত হোন্ডা অ্যাক্টিভা-কে ব্যাটারি ভার্সনে রূপিন্তর করতে এতে একটি হাফ মোটর ইনস্টল করা হয়েছে। যা পিছনের চাকার সাথে সংযুক্ত। ইলেকট্রিক ভার্সনে পরিবর্তনকারী সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, মোটরের কনস্ট্যান্ট পাওয়ার রেটিং ১ কিলোওয়াট এবং সর্বোচ্চ পাওয়ার রেটিং ২-২.৫ কিলোওয়াট। এতে উপস্থিত প্রিসম্যাটিক সেল যুক্ত ৭২ ভোল্ট ৪০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির আউটপুট ২.৮৮ কিলোওয়াট আওয়ার।

Activa-র নতুন রূপদানকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, সিঙ্গেল চার্জে স্কুটারটি ১২০ কিলোমিটারের বেশি পথ দৌড়বে। এবং ঘন্টায় ৫৫ কিলোমিটার গতি তুলতে সক্ষম এটি। স্কুটার অ্যানালগ গজ বদলে দেওয়া হয়েছে একটি অল ইলেকট্রিক ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। এর ইঞ্জিন স্টার্টিং সুইচের প্রয়োজনীয়তা না থাকায় সেটিকে হর্ন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আবার সুইং আর্ম পাল্টে দেওয়া হয়েছে ডুয়েল ড্যাম্পার।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইলেকট্রিক অ্যাক্টিভা-র চার্জিং পোর্টটি ফুটবোর্ডের কাছাকাছি অবস্থিত। মডিফাইকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, ইলেকট্রিক ভার্সনে রূপান্তরের জন্য মোট ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ব্যাটারির পেছনে যার অর্ধেকের বেশি ব্যয় হয়েছে। ব্যাটারির উপর তিন বছর ওয়ারেন্টি যুক্ত দেওয়া হয়েছে।