Kiyaverse: লঞ্চ হল ভারতের প্রথম ব্যাংকিং মেটাভার্স, ঘরে বসে কী কী সুবিধা পাবেন জেনে নিন

বর্তমান সময়ে টেক দুনিয়ার সর্বাধিক চর্চিত বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল Metaverse (মেটাভার্স)। এটি আদতে পৃথিবীর মধ্যেই অন্য আর একটি পৃথিবী। এই ভার্চুয়াল জগতকে আরও ভালোভাবে প্রত্যক্ষ করার জন্য বিশ্বের প্রথিতযশা কোম্পানিগুলি নিত্যনতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছে। সেক্ষেত্রে সমগ্র ভারতবাসীর জন্য এই প্রতিবেদনে রয়েছে Metaverse সংক্রান্ত একটি দারুণ সুখবর। কারণ, দেশে এবার ব্যাংকিং খাতে এই প্ল্যাটফর্মের সূচনা ঘটতে চলেছে যা নিঃসন্দেহে একটি চমকপ্রদ ব্যাপার। আসুন, এ সম্পর্কে একটু বিশদে জেনে নেওয়া যাক।

সম্প্রতি মুম্বাই-ভিত্তিক ফিনটেক কোম্পানি Kiya.ai ভারতের প্রথম ব্যাংকিং মেটাভার্স লঞ্চ করেছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে ‘কিয়াভার্স’ (Kiyaverse)। ভার্চুয়াল ইন্টার‍্যাকশনের জন্য ব্যাংকিং এবং নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলি (NBFC) এটির ব্যবহার করতে পারবে। সোজা কথায় বললে, এই নয়া টেকনোলজির মাধ্যমে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং পরিষেবা পাওয়া যাবে, যেখানে গ্রাহকদেরকে সাহায্য করার জন্য থাকবে ভার্চুয়াল রিলেশনশিপ ম্যানেজার, পিয়ার অবতার (Peer Avatars) এবং ভার্চুয়াল অ্যাডভাইজার (রোবো অ্যাডভাইজার)। 

সংস্থাটি জানিয়েছে যে, কিয়াভার্স পর্যায়ক্রমে গোটা দেশে রোলআউট করা হবে। প্রথম ধাপে ব্যাংকগুলি তাদের গ্রাহক, অংশীদার এবং কর্মীদের জন্য এই পরিষেবা চালু করবে। তদুপরি, গ্রাহকরা চাইলে এতে নিজেদের অবতার তৈরি করে নিতে পারবেন তবে এর জন্য তাদের মোবাইল, ল্যাপটপ ও ভিআর হেডসেটের প্রয়োজন পড়বে। এক্ষেত্রে কিয়াভার্স প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীরা নিজেদের অবতার সেট আপ করার পরে তারা ভার্চুয়াল রিলেশনশিপ ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করার পাশাপাশি একাধিক ব্যাংকিং পরিষেবা (যেমন – পোর্টফোলিও অ্যানালিসিস, ওয়েলথ মানেজমেন্ট, ইত্যাদি) অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি যে, কিয়াভার্সে বাস্তব ও ভার্চুয়াল জগতের মেলবন্ধন ঘটাবে মিক্সড রিয়েলিটি।

কোম্পানির মতে, আগামী দিনে Kiyaverse, NFT (এনএফটি)-কে টোকেন হিসেবে ব্যবহার করার পাশাপাশি ট্রানজ্যাকশনের জন্য CBDC (সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি)-কে সাপোর্ট করবে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, একটি দুর্দান্ত মেটাভার্স ব্যাংকিং সুপার-অ্যাপ এবং মার্কেটপ্লেস গঠনের জন্য Kiyaverse তার ওপেন এপিআই কানেক্টরগুলিকে (Open API connectors) অ্যাগ্রিগেটর (Aggregators) এবং গেটওয়েগুলির (Gateways) সাথে কানেক্ট করবে। এর পাশাপাশি হ্যাপ্টিক-এনাবেলড হেডসেট (Haptics enabled Headsets) এবং ইন্টারনেট অফ সেন্স (Internet of Senses) ব্যবহারের মাধ্যমে ইউজারদের রিয়েল-ওয়ার্ল্ড ইন্টার‍্যাকশনের মতো এক্সপেরিয়েন্স অর্জনে সাহায্য করবে Kiyaverse। মোদ্দা কথা হল, ব্যবহারকারীদের মেটাভার্স ব্যাংকিং পরিষেবা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করাটাই এখন Kiya.ai-এর সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। এবার আগামী দিনে এই লক্ষ্যে তারা কতটা সফল হয়, এখন সেটাই দেখার।