Car Safety: দুর্ঘটনা হলে কতটা রক্ষা করতে পারবে গাড়ি, তার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে কেন্দ্র

হালে গাড়ির ইঞ্জিন এবং ফিচারের পাশাপাশি সুরক্ষার বিষয়টিও সমানভাবে প্রাধান্য পাচ্ছে গ্রাহকদের কাছে। কেনার সময় অনেকেই ৫ অথবা ৪ সেফটি রেটিং দেখে গাড়ি কিনছেন। নিজের ও সবচেয়ে কাছের পরিজনের কথা ভেবেই এই পথ বেছে নিচ্ছেন তাঁরা। এতদিন ভারতে গাড়ির সুরক্ষা পরীক্ষার জন্য আর্ন্তজাতিক মানের মাপকাঠি ছিল না। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সওয়াল করে আসছিল কেন্দ্র। এবারে তা পাকাপাকি ভাবে চালু হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এবার ভারতে তৈরি সমস্ত গাড়ির ক্র্যাশ টেস্ট করবে ভারত এনক্যাপ (Bharat NCAP)। নতুন বিধি চালু হচ্ছে আগামী বছরের এপ্রিল থেকে।

দেশে এতদিন এই নিয়ম বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু এখন সরকার ভারতের গাড়িগুলির সুরক্ষা যাচাই করে দেখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে। যেই প্রথা ইতিমধ্যেই বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে চালু রয়েছে। তাই উন্নয়নের ধারা জারি রাখতে ভারতীয় এবার চালু হতে চলেছে ক্র্যাশ টেস্ট। দেশের সুরক্ষাবিধি মেনেই গাড়ি বাজারে আনতে হবে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে যদি কোনো মডেল ক্র্যাশ টেস্টে কম রেটিং পায় তবে সেটি আইনত অপরাধ বলে গ্রাহ্য হবে না। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, “সব মডেল যে ৫ অথবা ৪ রেটিং পাবে তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।”

আসলে ভারতের রাস্তা পথ দুর্ঘটনার ফলে প্রাণহানির ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। আবার ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে তিন নম্বরে। পরিসংখ্যান বলছে প্রতি বছর এদেশের রাস্তায় গড়ে ৫ লক্ষ দুর্ঘটনা ঘটে। যার ফলে গড়পড়তায় ১.৫০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে আবার ৭০% মানুষ ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী। মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে সংস্থাগুলিকে সরকারের পরামর্শ শক্তিশালী গাড়ির নির্মাণ, অত্যাধুনিক ট্রাফিক পরিচালন ব্যবস্থার প্রণয়ন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত প্রযুক্তির ব্যবহার করে রাস্তায় মানুষের ত্রুটি এড়ানো।

সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, ক্রাশ টেস্টে ভারত সমগ্র বিশ্বের গাড়ির বাজারের থেকে ৫-৭ বছর পিছিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে ভারতের বাজারে বিক্রিত মডেলগুলির সুরক্ষায় যাতে কোন খামতি না রাখা হয়, সেই প্রসঙ্গে প্রশাসন জানিয়েছে, “আমাদের বিধি বিকশিত হচ্ছে। আমরা আমেরিকা ইউরোপ কোরিয়া সহ অন্যান্য দেশের গ্লোবাল এনক্যাপ মডেল নিয়ে চর্চা করছি। নির্দেশ জারি করার আগে নির্মাতাদের অবহিত করা হবে।”