Nausha E-Bike: 35 হাজারেই দেশী ইলেকট্রিক বাইক, অর্ডার আসছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে
ভারতে পরিবেশবান্ধব যানবাহনের মধ্যে অন্যতম ইলেকট্রিক গাড়ির প্রতি সচেতনতা যখন ঊর্ধ্বমুখী, কিন্তু বহু মূল্যের কারণে এগুলি এখনও অসংখ্য মানুষের বিলাসিতার তালিকাতেই রয়ে গিয়েছে। তাই এর উল্লেখযোগ্য হারে ব্যবহার এখনও অধরাই রয়ে গিয়েছে। এহেন দুর্মূল্যের পরিস্থিতিতে এক অদ্ভুত দর্শন ইলেকট্রিক বাইক তৈরি করে দেশবাসীকে তাক লাগালো পাঞ্জাবের নওশা ইলেকট্রিক (Nausha Electric)।
ইলেকট্রিক যানবাহনের বাজারে সদ্য পথ চলা শুরু করায় নওশা ইলেকট্রিক এখনও একটি পরিপূর্ণ সংস্থায় পরিণত হতে পারেনি। চীন থেকে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানি করে রাতারাতি ই-বাইক লঞ্চের পথে হাঁটেনি তারা। বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রতি উৎসাহ এবং এর প্রতি নিজের অন্তহীন ভালোবাসা থেকেই ই-বাইকটি কার্যত তৈরি করেছেন সংস্থার মালিক নওশা।
নওশার দাবি, এই বৈদ্যুতিক বাইকটি সম্পূর্ণ স্ক্র্যাপ ম্যাটেরিয়াল থেকে তৈরি করেছেন। তিনি এমন সব বাতিল হওয়া যন্ত্রাংশ নিখুঁত ভাবে পছন্দ করেছেন, যেগুলি থেকে এটি তৈরি করা সম্ভব। ই-বাইকটির মোটা নলাকৃতি অংশটি হতে পারে কৃষি কাজে ব্যবহৃত সাবমার্সেল বোরওয়েল মোটরের বাতিল হয়ে যাওয়া ভেতরের কেসিং।
এদিকে টু হুইলারটির সমস্ত কিছু স্ক্র্যাপ ম্যাটেরিয়াল বলে দাবি করা হলেও, এর ব্যাটারি, কন্ট্রোলার এবং হাব মোটরটি অন্য একটি ইভি কোম্পানি থেকে নেওয়া হয়েছে। আবার সাসপেনশনটি অন্য ইলেকট্রিক স্কুটারের থেকে ধার করা। এতে উপস্থিত ১০ ইঞ্চি হুইল। ব্যাটারি, কন্ট্রোলার, বিএমএস সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় যন্ত্র ওই মোটা নলের ভেতরে প্রতিস্থাপিত।
ই-বাইকটি দুটি রঙের বিকল্পে হাজির হয়েছে – ব্ল্যাক এবং ইয়েলো। ইয়েলো মডেলটির সামনে ড্রাম ব্রেক দেওয়া হলেও ব্ল্যাক মডেলটিতে তা অনুপস্থিত। ইয়েলো এবং ব্ল্যাক মডেলটির দাম যথাক্রমে ৪০,০০০ ও ৩৫,০০০ টাকা। নওশার দাবি দেশে এমনকি বিদেশের বহু মানুষের থেকে এর বরাত এসেছে। ভবিষ্যতে এতে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ এবং রেঞ্জ বা স্পিড সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।