Bill Gates: ভারতে এসে অটো চালাচ্ছেন বিল গেটস, শুনছেন কিশোর কুমারের গান

“নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান”- আমাদের জন্মভূমি ভারতবর্ষের সম্পর্কে এমনই আবেগঘন শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এদেশের শিল্প-সংস্কৃতি এবং উন্নতি সবকিছুই অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ খানিকটা আলাদা হওয়ার কারণেই বিভিন্ন সময়ে নানা দেশ থেকে বিখ্যাত সব মানুষজন পাড়ি দিয়েছেন আমাদের দেশে। হর্ষবর্ধন কিংবা মহামতি অশোকের আমল হোক কিংবা আজকের দিনের মোদি জমানা, কয়েকশো বছর ধরেই সেই একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখেছে এই দেশের মাটি। সম্প্রতি ভারত ভ্রমণে এসেছেন মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি বিল গেটস। এহেন মহান মানুষ যদি সামান্য একটি অটোরিক্সার চালকের আসনে বসেন তবে কেমন হয়?

ঠিক এমনই আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী থাকল নেটিজেনরা। আসলে করোনা পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের জন্য এদেশের মাটিতে পা রেখেছেন বিল গেটস। ভারতবর্ষের শিল্প-সংস্কৃতি এবং প্রগতি সমস্ত কিছুই তাকে যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছে। কয়েকদিনের ভারত সফরে তিনি এদেশের স্বাস্থ্য-শিক্ষা ব্যবস্থা এবং কৃষিকার্যে যুক্ত বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছেন। সেই সমস্ত মুহূর্তের বিভিন্ন রকম ছবি নিজের ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে পোস্ট করেছিলেন বিল গেটস।

এমনই এক পোস্টে তিনি মাহিন্দ্রার তৈরি Treo নামের একটি ব্যাটারিচালিত অটো চালানোর ছবি প্রকাশ করেন। এমনকি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে শেয়ার করা ভিডিয়োটির ব্যাকগ্রাউন্ডে কিশোর কুমারের অন্যতম জনপ্রিয় গান “বাবু সামঝো ইশারে” শোনা গিয়েছে।

ভাইরাল হওয়া এই ইনস্টাগ্রাম পোস্ট এর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “নতুন প্রযুক্তির প্রতি ভারতবর্ষের সদর্থক ইচ্ছাশক্তি দেখে অবাক না হয়ে থাকা যায় না। আমি একটি ইলেকট্রিক অটোরিকশা চালিয়েছিলাম যা চার জন যাত্রীকে নিয়ে প্রায় ১৩১ কিমি পর্যন্ত চলতে সক্ষম। মাহিন্দ্রার মতো সংস্থা পবিবেশ দূষণ কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যথার্থভাবেই অনুপ্রেরণা জাগায়।”

প্রসঙ্গত মাহিন্দ্রা তাদের Treo ইলেকট্রিক অটোরিক্সা ২০২১ সালের শেষের দিকে লঞ্চ করেন। বর্তমানে এর এক্স শোরুম মূল্য ২.০৯ লাখ টাকা। এতে শক্তি ভান্ডার হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন ৪৮ ভোল্ট এবং ৭.৩৭ কিলোওয়াট আওয়ারের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক। মাত্র ৩ ঘন্টা ৫০ মিনিটেই তিন চাকা গাড়িটিকে সম্পূর্ণভাবে চার্জ করা সম্ভব। প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিমি গতিবেগে ছুটতে পারে এটি। সামনে ও পিছনে উভয় দিকেই হাইড্রোলিক ব্রেক বিদ্যমান। এছাড়াও এতে আলাদাভাবে একটি পার্কিং ব্রেক যুক্ত রয়েছে।