Electric Vehicle: পরিবেশ দূষণ কমাতে কেবল ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারের উদ্যোগ নিল ওড়িশা সরকার

বর্তমানে পরিবেশ দূষণের চোখ রাঙানি থেকে বাঁচতে ভারতের সকল রাজ্যই বেশ তৎপর। বিশেষত বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধিকে বিশেষ গুরুত্বের চোখেই দেখা হচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারকে নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করতেও দেখা গিয়েছে। এবারে ওড়িশা এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিল। সে রাজ্যের সরকার প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করল। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি অফিস সেগুলি ভাড়ায় নেবে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার পরিবহণ মন্ত্রী টুকুনি সাহু।

এই প্রসঙ্গে সাহু বলেন, “নবীন পট্টনায়ক সরকার বরাবর পরিবেশ দূষণ ব্যতীত উন্নয়নের পক্ষপাতী। সেই অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে জীবাশ্ম জ্বালানি যানবাহনের বদলে ইলেকট্রিক ভেহিকেল ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছি।” তিনি জানান, সরকারের পরিকল্পনা যাতে কমপক্ষে কটক এবং ভুবনেশ্বরের প্রতিটি প্রশাসনিক দপ্তরে কিছু বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো যায়।

এমনকি পরিবহণ সচিবকে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কার্যালয়ে ব্যবহারের জন্য ব্যাটারি চালিত গাড়ি ভাড়ায় নিতে খরচ পড়তে পারে, তা জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মন্ত্রককে লিজ বা ভাড়ায় নেওয়া পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ির বদলে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে গত বছরই ওড়িশা সরকার তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি লঞ্চ করেছিল। যার আওতায় রাজ্যের জনগণকে বিভিন্ন প্রকার ব্যাটারি পরিচালিত গাড়ি কিনতে ভর্তুকি দিয়ে থাকে প্রশাসন। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ওড়িশা সরকার ৪,৪৮৮ জন ক্রেতাকে ইলেকট্রিক ভেহিকেল কিনতে ২.৯৬ কোটি টাকার ভর্তুকি দিয়েছে। এর ফলে সে রাজ্যে মোট ১৬,৭৫৯টি ই-গাড়ি বিক্রি হয়েছে এবং ৫,৪৬৬ জন ক্রেতা ভর্তুকি পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। যার মধ্যে আর্থিক অনুদান পেয়েছেন ৪,৪৮৮ জন।