Ola ভারতের বাজার কাঁপিয়ে ইউরোপের দুয়ারে হাজির, ভারতে তৈরি স্কুটার বিক্রি করবে সেখানে

ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে এবার আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় হাজির দেশের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক স্কুটার নির্মাতা ওলা ইলেকট্রিক(Ola Electric)। ইতালির মিলান শহরে অনুষ্ঠিত মোটরবাইকের শো EICMA-তে তারা এই প্রথম ইউরোপে লঞ্চ করার জন্য S1 রেঞ্জের ই-স্কুটারগুলি প্রদর্শন করল। ইতিপূর্বেই প্রতিবেশী দেশ নেপালেও বৈদ্যুতিক স্কুটারের লঞ্চের ঘোষণা করেছিল বেঙ্গালুরু কেন্দ্রিক ওই সংস্থা। ওলার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বছরের প্রথমার্ধেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্কুটার লঞ্চের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আর এটিই হবে আন্তর্জাতিক বাজারে ছড়িয়ে পড়ার প্রথম পদক্ষেপ।

ইতিমধ্যেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা একাধিক স্থানীয় সংস্থার সঙ্গে স্কুটার বিক্রি এবং সার্ভিস সংক্রান্ত নেটওয়ার্কের প্রসার লাভের জন্য কথাবার্তা চালাচ্ছে ওলা ইলেকট্রিক। এর পরবর্তী ধাপে লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিতেও স্কুতার বিক্রির ছক কষছে ভারতীয় সংস্থাটি।

ওলার প্রতিষ্ঠাতা ও মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক ভাবিশ আগরওয়াল এই প্রসঙ্গে বলেন, “ভারতের বাইরের বিশ্বে বৈদ্যুতিক স্কুটারের সাম্রাজ্য বিস্তার করতে এবং বিশ্বের মানচিত্রে এই দেশকে বৈদ্যুতিক যানবাহনের পিঠস্থান হিসাবে গড়ে তুলতে ওলা বদ্ধপরিকর। EICMA-র মাধ্যমে ইউরোপের মাটিতে প্রথম আমাদের স্কুটারগুলির প্রদর্শন করা হলো এবং এখানকার গ্রাহকদের সামনে তা করতে পেরে আমরা খুবই গর্বিত। আমরা নিশ্চিত যে আমাদের এই প্রোডাক্টগুলি ভারতবর্ষের মতো ইউরোপের বাজারেও যথেষ্ট সুনাম অর্জন করতে পারবে”।

প্রসঙ্গত, ইলেকট্রিক টু-হুইলার নির্মাণকারী সংস্থা ওলার হাতে রয়েছে তিনটি বৈদ্যুতিক স্কুটার- S1, S1 Pro এবং S1 Air। সবচেয়ে সস্তার মডেল S1 Air গত মাসেই প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছে ভারতে। ২.৫ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক ও ৪.৫ কিলোওয়াট এর বৈদ্যুতিক মোটর সম্বলিত এই স্কুটারটির প্রারম্ভিক মূল্য ৮৪,৯৯৯ টাকা। আগামী ২০২৩-র এপ্রিল মাস থেকেই স্কুটারটির ডেলিভারি দেওয়া শুরু হবে।

অন্যদিকে, উৎপাদন ব্যবস্থাকে আরোও জোরদার করতে উঠে পড়ে লেগেছে ওলা ইলেকট্রিক। আগামী এক বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ বৈদ্যুতিক স্কুটার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে চলার অঙ্গীকার নিয়েছে তারা। বর্তমানে এই সংস্থার বার্ষিক ইলেকট্রিক স্কুটার উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় ২০ লক্ষ। এদিকে এক বছরের কম সময়ে ১ লাখ স্কুটার তৈরি করে নজির গড়েছে তারা।