চলন্ত অবস্থায় বেরিয়ে এল চাকা, Ola S1 ই-স্কুটারের সাসপেনশন ভেঙে গুরুতর জখম মহিলা

বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক স্কুটার সংস্থার মুকুট রয়েছে ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric)-এর মাথায়। বিক্রির নিরিখে তারা এই সুখ্যাতি অর্জন করেছে। কিন্তু এদেশে ওলা সুনামের পাশাপাশি দুর্নামের তালিকাটিও নেহাত ছোট নয়। যার মধ্যে এর আগে একাধিকবার স্কুটারের সামনের সাসপেনশন ভেঙে চাকা বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবারও সেই একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটলো। রাস্তায় চলার সময় সাসপেনশন ভেঙে স্কুটার থেকে আলাদা হয়ে গেল সামনের চাকা। অল্পের জন্য চালক প্রাণে বেঁচে গেলেন ঠিকই, কিন্তু আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে তিনি হাসপাতালের আইসিইউ বেডে ভর্তি। টুইটের মাধ্যমে এমনই অভিযোগ করেছেন সমকিত পরমার নামক এক ব্যক্তি।

সমকিতের অভিযোগ তাঁর স্ত্রী Ola S1 ইলেকট্রিক স্কুটারটি চালাচ্ছিলেন। গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৩৫ কিমি। সে সময় আচমকাই ফ্রন্ট হুইল সাসপেনশন থেকে ভেঙে বেরিয়ে আসে। ফলস্বরূপ সমকিতের স্ত্রী স্কুটার থেকে ছিটকে সামনের দিকে আছাড় খান। শরীরের একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে গুরুতর চোট লাগে। সেই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সমকিত ওলার কর্ণধার ভাবিশ আগরওয়ালকে টুইটারে মেনশন করে সমগ্র ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন। এবং প্রশ্ন করেন এই দুর্ঘটনার জন্য কে দায়ী? যদিও তার প্রত্যুত্তরে ওলা বা এর কর্ণধার কেউই রা কাটেননি। প্রসঙ্গত, এমন ঘটনা এই প্রথমবার নয়, এর আগেও সাসপেনশন ভেঙে যাওয়ার মত গুরুতর অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওলার স্কুটারের কাঠামোতে পরিবর্তন ঘটানোর কোন তাগিদ নজরে পড়েনি।

ওলা এস১ ও এস১ প্রো-এর সামনে সিঙ্গেল ফর্ক সাসপেনশন রয়েছে। যেখানে এন্ট্রি লেভেল S1 Air-এ আছে অধিক মজবুতের প্রথাগত টেলিস্কোপিক টুইন ফ্রন্ট ফর্ক। এস১ ও এস১ প্রো-এর পেছনে মোনোশক সাসপেনশন উপস্থিত। যেখানে এস১ এয়ার-এ দেওয়া হয়েছে ডুয়েল শক অ্যাবজর্ভার। এদিকে দুর্ঘটনার সময় সমকিতের স্ত্রীর মাথায় হেলমেট ছিল কিনা, তা জানা যায়নি। আবার সংস্থার তরফে এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।