River Indie: তাগড়াই চেহারা ও স্পোর্টি ডিজাইন নিয়ে বাজারে নয়া ই-স্কুটারের এন্ট্রি, এক চার্জেই ছুটবে 120 কিমি

বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ রিভার (River) আনুষ্ঠানিকভাবে আজ তাদের প্রথম ইলেকট্রিক স্কুটার Indie লঞ্চের ঘোষণা করল। দেশের দু’চাকা বৈদ্যুতিক গাড়ির জগতে আগত এই নয়া মডেলটির দাম ১.২৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে শুরু হয়েছে। একটু ভিন্ন ধরনের ডিজাইন এবং বিরাট চেহারার সাথে এসেছে স্কুটারটি। যে কারণে একে সংস্থার তরফে ইলেকট্রিক স্কুটারের এসইউভি (SUV) বলে অভিহিত করা হয়েছে।

River Indie: দাম, ডেলিভারি

জানিয়ে রাখি, ইন্ডি-র ১.২৫ লাখ দক্ষিণা প্রারম্ভিক মূল্য হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দামে পরিবর্তন আনা হবে। ইতিমধ্যেই স্কুটারটির বুকিং গ্রহণ শুরু করেছে কোম্পানি। ২০২৩ এর অগাস্ট থেকে রিভার ইন্ডি-র ডেলিভারি শুরু হবে বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।

River Indie: ডিজাইন

রিভার ইন্ডি ই-স্কুটারটি ডিজাইনের দিক থেকে প্রথাগত ঘরানা পালন করেনি। ফ্রন্ট অ্যাপ্রনে টুইন-বিম ফুল এলইডি হেডলাইট দেখলে মনে হবে যেন দুটি বড়বড় চোখ জ্বলজ্বল করছে। যা স্কুটারটিকে অন্যান্য বৈদ্যুতিক মডেলের থেকে ভিন্নতা দান করেছে। আবার স্মার্ট ডুয়েল টোন কালার থাকার কারণে আরও বেশি স্পোর্টি মনে হচ্ছে স্কুটারটি। এর আসন সবচেয়ে লম্বা ও চওড়া বলে দাবি করা হয়েছে।

River Indie: ফিচার্স

রিভার ইন্ডি ১৪ ইঞ্চি চাকার সঙ্গে এসেছে যা সকলের নজর কাড়বে। ৪৩ লিটার বুট স্পেসের থাকায় বাজারে উপলব্ধ অন্যান্য ইলেকট্রিক স্কুটারকে স্টোরেজ ক্যাপাসিটির নিরিখে হার মানতে বাধ্য করবে এটি। আবার ফ্রন্ট গ্লোভবক্সে মিলবে ১২ লিটারের অতিরিক্ত স্পেস।

রিভার তাদের এই স্কুটারটিতে ২৫ লিটারের বাক্স ও প্যানিয়ার লাগানোর অপশন রেখেছে। ফলে প্রয়োজনমাফিক জিনিসপত্র রাখার অতিরিক্ত জায়গা মিলবে। যার কারণে হোম ডেলিভারির জন্যও উপযুক্ত হয়ে উঠবে স্কুটারটি। এছাড়া অন্যান্য ফিচারগুলির মধ্যে রয়েছে ফুল ডিজিটাল স্ক্রিন, ডুয়াল ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, এলইডি লাইটিং এবং রিভার্স পার্কিং অ্যাসিস্ট, সাইড স্ট্যান্ড কাট-অফ ফাংশন।

River Indie: ব্যাটারি, রেঞ্জ, স্পিড

সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে যে, রিভার ইন্ডি মডেলে উপস্থিত আইপি৬৭ রেটিংযুক্ত ৪ কিলোওয়াট ব্যাটারি এক চার্জে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ অফার করবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্জারে পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই ৮০% চার্জ হয়ে যাবে। স্কুটারটির ইলেকট্রিক মোটর থেকে সর্বোচ্চ ৮.৯ হর্সপাওয়ার ২৬ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। আবার ০-৪০ কিমি/ঘন্টার গতিবেগ ৩.৯ সেকেন্ডে তুলতে পারবে স্কুটারটি। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৯০ কিমি। ইকো, রাইড এবং রাশ – এই তিন রাইডিং মোড উপলব্ধ এতে।