প্রতি বছর দুই নতুন EV লঞ্চ, বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে মস্ত বড় প্ল্যান কষছে Tata

পরিবেশ দূষণের সাথে মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানির যানবাহন পরিত্যাগ। বিকল্প পথ হিসেবে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়িই ভরসা। যত দিন যাচ্ছে, সমগ্র বিশ্বেই ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বেড়ে চলেছে। সে পথে পিছিয়ে নেই ভারতও। যা দেখে বর্তমানে দেশের বৃহত্তম ইলেকট্রিক গাড়ি সংস্থা টাটা মোটরস (Tata Motors) তাদের আগামী পদক্ষেপের কথা জানাল। সংস্থাটি চলতি বছরের শুরুর দিকে জানিয়েছিল আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারা ১০টি ব্যাটারি চালিত গাড়ি লঞ্চের পরিকল্পনা করছে। এবারে সেই ঘোষণায় ফের নিজেদের স্থায়ী অবস্থানের কথা নিশ্চিত করল টাটা মোটরস প্যাসেঞ্জার ভেহিকেলস এবং টাটা প্যাসেঞ্জার ইলেকট্রিক মোবিলিটি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শৈলেশ চন্দ্র।

সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রতি বছর একটি বা দুটি করে মডেল লঞ্চ করা হবে। এই প্রসঙ্গে চন্দ্র বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের অন্যান্য পণ্যের কথা জানিয়েছি। পরবর্তী পাঁচ বছরে নতুন দশটি ইলেকট্রিক ভেহিকেল লঞ্চ করতে চলেছি আমরা।” তিনি যোগ করেন, “প্রত্যেক বছর এক অথবা দুটি বৈদ্যুতিক গাড়ি লঞ্চের পরিকল্পনা করছি। সর্বপ্রথম একটি এসইউভি মডেল লঞ্চ করা হতে পারে, এরপর একটি সেডান এবং একটি হ্যাচব্যাক গাড়ি আসবে।”

বর্তমানে টাটা মোটরসের ঝুলিতে মোট চারটি ব্যাটারি গাড়ি রয়েছে। Nexon EV, Tigor EV এবং Tiago EV হল ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য। এবং কেবলমাত্র ফ্লিট অপারেটরদের জন্য আছে Tata Xpres-T। সদ্য লঞ্চ হওয়া টিয়াগো ইভি-র ডেলিভারি নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। এদিকে তাদের পরবর্তী ইলেকট্রিক গাড়ির তালিকায় Tata Punch এর নাম ইতিমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরপর সংস্থার প্রদর্শিত Curvv ও Avinya কনসেপ্ট মডেলের উপর ভিত্তি করে গাড়ি আসবে। এমনকি তারা সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ভার্সনে Sierra-কে পুনরায় হাজির করতে পারে বলে খবর।

আপকামিং ইলেকট্রিক ভেহিকেলের নাম জানতে চাওয়া হলে, চন্দ্র তা খোলসা করেননি। তাঁর কথায়, “আমরা যখন Tiago EV বাজারে লঞ্চ করেছিলাম, তখন এ বিষয়ে কেউ আশা করতে পারেনি। তাই আমরা এই বিষয়টি বিস্ময় হিসেবে রাখতে চাই।” প্রসঙ্গত, বর্তমানে টাটা মোটরস ভারতের ৮৭ শতাংশ বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারের অংশীদার। এখনও পর্যন্ত তাদের কারখানা থেকে ৫০,০০০-এর বেশি ইলেকট্রিক গাড়ি বেরিয়েছে।