রেকর্ড বইয়ের পাতায় নাম লেখাল Tata-র বৈদ্যুতিক গাড়ি, কী কীর্তি গড়ে এমন স্বীকৃতি?

আগামী দিনে ভারতবর্ষ তথা সমগ্র পৃথিবীর বুকে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে ইলেকট্রিক গাড়ি। এই সম্ভাবনাময় পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন সংস্থার তৈরি বিভিন্ন সেগমেন্টের ইভিগুলি এই মুহূর্তে ভারতের বাজারে উপলব্ধ রয়েছে। তবে এদেশের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে বরাবরই প্রথম স্থানের দখলদারি রয়েছে Tata Nexon EV-র হাতে। সম্প্রতি এই গাড়ির সাথে ঘটা এক অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী রইল আসমুদ্র হিমাচল। কারণ এই প্রথম কোন বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসাবে নেক্সন ইভি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী সবচেয়ে কম সময়ে যাত্রা সম্পূর্ণ করার রেকর্ড তৈরি করলো।

এর সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ইতিমধ্যে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এ নিজের নাম নথিভুক্ত করেছে টাটা মোটরস এর এই ইলেকট্রিক এসইউভি গাড়িটি। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী যাওয়ার রাস্তায় প্রথম কোন ব্যাটারি চালিত গাড়ি এমন রেকর্ডের অধিকারী হল। মাত্র চার দিনের মধ্যে নেক্সন ইভি প্রায় ৪০০৩ কিমি যাত্রা সম্পূর্ণ করেছে। সময়ের হিসাব বিস্তারিত ভাবে বললে হয় ৯৫ ঘন্টা ৪৬ মিনিট অর্থাৎ ৪ দিনের মধ্যেই। এই রেকর্ড নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে এই গাড়ির নানা ধরনের রাস্তায় চলার দক্ষতা। বলাই বাহুল্য এই নন স্টপ যাত্রা ভারতীয় হাইওয়েতে থাকা বিভিন্ন পাবলিক চার্জিং স্টেশন থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে।

সমগ্র ট্রিপ জুড়ে ফার্স্ট চার্জিং এর সুবিধা পেতে ২১ টি স্টপে মোট ২৮ ঘন্টা সময় ব্যয় করেছে এই গাড়িটি। ফলস্বরপ অনেকটা সময় বাঁচাতে পেরেছে এই ইলেকট্রিক গাড়িটি। শুধু তাই নয় অন্য যেকোনো জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি থেকে অনেকটাই কম খরচে এই সম্পূর্ণ যাত্রা সম্পন্ন করা গিয়েছে। এমনকি চার দিনের এই যাত্রা পথে টাটার এই গাড়িটি প্রায় ৩০০ কিমি থেকে বেশি রিয়েল ওয়ার্ল্ড রাইডিং রেঞ্জ প্রত্যক্ষ করেছে। উপরন্তু কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী যাত্রায় দ্রুততম বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসাবে নেক্সন ইভি আরও ২৩টি রেকর্ড তৈরি করেছে।

এই প্রসঙ্গে টাটা মোটরস প্যাসেঞ্জার ভেহিকেল লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শৈলেশ চন্দ্র বলেন “সমগ্র দেশ জুড়ে পরিবেশবান্ধব উপায়ে গাড়ি চার্জিং এর সুগঠিত পরিকাঠামো ও প্রোডাক্টের বিপুল পরিমাণে সফলতা আমাদেরকে এই শিরোপা প্রাপ্তির সুযোগ করে দিয়েছে। আর এই সব কিছুই আমাদের সংস্থার অস্তিত্বকে আরো বেশি ক্ষমতাশালী করে তুলেছে”। এই যাত্রা পথে প্রত্যেক ৭৫ থেকে ১০০ কিমির মধ্যে দ্রুত চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। যা ভারতের ইভি ইকো সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ সফল অংশ।

তিনি আরো বলেন “আমাদের দেশের উত্তর-দক্ষিণ বরাবর প্রায় ৪০০৩ কিমি সড়কপথে সবচেয়ে কম সময়ের ব্যবধানে বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে এই যাত্রা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যেহেতু আমি এবং আমার সহকর্মী প্রথমবারের জন্য এমন অভিনব ভাবনার অংশীদার হয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল নেক্সন ইভির গ্রাহকেরা আত্মবিশ্বাসের সাথে দীর্ঘ যাত্রায় এই গাড়িটিকে যাতে ব্যবহার করতে পারেন সেটা প্রদর্শন করা। পাশাপাশি এটাও প্রমাণিত হলো যে চার্জিং স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নত হওয়ার সাথে সাথে নেক্সন ইভির রেঞ্জ ও বৃদ্ধি পেয়েছে।”