ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে 1 লাখ টাকা দেবে সরকার, যোগীরাজ্যে EV পলিসির ঘোষণা

উত্তরপ্রদেশ সরকার তাদের নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ির নীতির খসড়া প্রকাশ করল। ২০২২ ইলেকট্রিক ভেহিকেল পলিসি চালুর মূল উদ্দেশ্য রাজ্যের আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে ব্যাটারি চালিত যানবাহনকে জনপ্রিয় করে তোলা। আর সেজন্য ইভি পলিসির আওতায় ইলেকট্রিক যানবাহন ক্রেতাদের ভর্তুকি দেওয়া হবে। একই সাথে লক্ষ্য দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনা। সে রাজ্যের সরকার সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সাথে জড়িত একাধিক খুঁটিনাটি বিষয়ের উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে। যাতে আরও বেশি সংখ্যক বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি সে রাজ্যে ব্যবসার সম্প্রসারণে আগ্রহী হয় এবং একটি বৃহৎ চার্জিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যায়।

ইভি পলিসির আওতায় উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হল, বৈদ্যুতিক যানবাহনকে পথকরের আওতা থেকে ১০০ শতাংশ নিষ্কৃতি দেওয়া। এমনকি নতুন নীতি কার্যকর হওয়ার প্রথম তিন বছরের জন্য রাজ্যের সকল প্রকার ব্যাটারি চালিত যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ফি মকুব করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আবার কোন গাড়ি যদি দেশের মাটিতেই তৈরি হয় সে ক্ষেত্রে গাড়ি কেনার চতুর্থ এবং পঞ্চম বছরেও এই আর্থিক ছাড় কার্যকর থাকবে।

আবার প্রথম পাঁচ লক্ষ ইলেকট্রিক টু-হুইলারের এক্স-শোরুম মূল্যের উপর সর্বোচ্চ ১৫% অথবা ৫,০০০ টাকার (যেটি কম হবে) ভর্তুকি দেওয়া হবে। আবার রাজ্যের প্রথম ২৫ হাজার ইলেকট্রিক গাড়ির ক্রেতাকে ১ লক্ষ টাকার ভর্তুকি দেওয়া হবে। আবার ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলারের প্রথম ৫০,০০০ গ্রাহক পেয়ে যাবেন ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনসেন্টিভ। আর প্রথম ৪০০টি ইলেকট্রিক বাসে থাকছে ২০ লক্ষ টাকার ভর্তুকি।

সমগ্র উত্তর প্রদেশে বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশনের প্রথম ২,০০০ নির্মাতাকে স্টেশন পিছু ১০ লক্ষ টাকার ভর্তুকি দেবে সরকার। আবার প্রথম ১,০০০ সোয়াপিং স্টেশন নির্মাতাকে স্টেশন পিছু ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। আসলে উত্তরপ্রদেশকে ইলেকট্রিক ভেহিকেল উৎপাদনের তালুক হিসেবে গড়ে তুলতেই এই পদক্ষেপ সরকারের। নতুন এই বৈদ্যুতিক খসড়া নীতিটি ৩০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আনবে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে বলে আশাবাদী প্রশাসন।