Fujiyama একঝাঁক নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করল, 49,499 টাকা থেকে দাম, ফুল চার্জে যাবে 140 কিমি
পেট্রোলের আকাশ ছোঁয়া দাম দেখে ইলেকট্রিক স্কুটার কেনার কথা ভাবেন অনেকেই। তবে ব্যাটারি চালিত এই সমস্ত স্কুটারগুলির...পেট্রোলের আকাশ ছোঁয়া দাম দেখে ইলেকট্রিক স্কুটার কেনার কথা ভাবেন অনেকেই। তবে ব্যাটারি চালিত এই সমস্ত স্কুটারগুলির মাত্রাতিরিক্ত দাম দেখে স্কুটার চালানোর স্বপ্নকে অঙ্কুরেই নষ্ট করার পথে হাটতে বাধ্য হন তারা। তবে এখন থেকে আপনার মোটর চালিত দুই চাকা চড়ার স্বপ্নকে আকাশে উড়তে দিন। কারণ এবার বহুমূল্যের এই বাজারে কম দামের মধ্যে ৫টি ব্যাটারি চালিত স্কুটার লঞ্চ করল Fujiyama। এই পাঁচটি স্কুটারের সবচেয়ে সস্তা মডেলটি কিনতে খরচ হবে ৪৯,৪৯৯ টাকা আর দামী ভার্সনের মূল্য রাখা হয়েছে ৯৯,৯৯৯ টাকা।
Fujiyama একসাথে পাঁচটি ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করল
নতুন মডেলগুলির মধ্যে চারটিই কম স্পিড যুক্ত অর্থাৎ সর্বোচ্চ গতি ২৫ কিমির কম। এদের নাম Spectra Pro, Spectra, Vespar এবং Thunder। আর উচ্চ গতি সম্পন্ন ইলেকট্রিক স্কুটারের নাম Ozone+ নামে। মাত্র ২-৩ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ ১৪০ কিমির বেশি রাস্তা পাড়ি দেওয়া যাবে বলে দাবি সংস্থার। অর্থাৎ কিলোমিটার প্রতি খরচ হিসেব করতে বসলে তার মূল্য হবে মাত্র কয়েক পয়সা। এর সমস্ত কৃতিত্ব Fujiyama কিন্তু দিয়েছে তাদের কম রক্ষণাবেক্ষণ যুক্ত এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্রাশলেস ডিসি মোটরকে।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো এবার প্রশ্ন করবেন যে কম দামে এই ইলেকট্রিক স্কুটার হাতে পেলেও এর পিছনে পরবর্তীতে কত খরচ হবে? আপনাদের আশ্বস্ত করে জানাই ফুজিয়ামার পক্ষ থেকে তাদের এই প্রতিটি স্কুটারের জন্য প্রথমে তিনটি সার্ভিস থাকবে একদম বিনামূল্যে। তারপর থেকে প্রতিবার সার্ভিস করতে খরচ হবে মাত্র ২৪৯ টাকা। অর্থাৎ কম টাকায় ইলেকট্রিক স্কুটার কিনে নামমাত্র খরচে প্রতিদিন নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি এগুলির রক্ষণাবেক্ষণ খরচও সাধারণের সম্পূর্ণ হাতের মুঠোয়।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সংস্থাটি দুটি বৈদ্যুতিক টু-হুইলার লঞ্চের পরিকল্পনা করছে। এদের মধ্যে একটি হবে ক্লাসিক স্টাইলের ইলেকট্রিক স্কুটার যার দাম হবে ৬৯,৯৯৯ টাকা। একবার চার্জে এই স্কুটারটি প্রায় ১৬০ কিমি পর্যন্ত ছুটতে পারবে। অন্যদিকে ৯৯,৯৯৯ টাকা দামের দ্বিতীয় একটি ব্যাটারি চালিত মোটরসাইকেলও লঞ্চ করবে তারা। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী গাড়ি নয় বরং আগামী দিনে পণ্য পরিবহনের জন্যও ব্যাটারি চালিত তিন চাকার গাড়ি আনার পরিকল্পনা রয়েছে এই সংস্থার।
নতুন মডেল লঞ্চ করার পাশাপাশি অতি দ্রুত সমগ্র ভারতবর্ষে জুড়েই নিজেদের ডিলারশিপ নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে ফুজিয়ামা। সম্প্রতি রাজস্থানের জয়পুরে রুদ্রশক্তি মোটরস নামে নিজেদের একটি শোরুম উদ্বোধন করেছে তারা। সংস্থার এই বিশ্বমানের শোরুমগুলিতে তাদের তৈরি প্রোডাক্টগুলির ডিসপ্লে করার পাশাপাশি সেগুলির সমস্ত যন্ত্রাংশ উপলব্ধ হবে। গ্রাহকরা এই শোরুমগুলিতে এসে তাদের তৈরি মডেলগুলির বুকিং সংক্রান্ত যেকোনো কাজ করতে পারবেন।
ফুজিয়ামার অধিকর্তা উদিত আগরওয়াল তাদের সংস্থার প্রসঙ্গে বলেন, "আমাদের দেশের প্রথম সারির সংস্থা হিসাবে আমরা হিমাচল প্রদেশের উনা জেলায় ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তিনটি ধাপে বিশ্বমানের কারখানা তৈরি করার প্রতিজ্ঞা নিয়েছি। এই কারখানাতে প্রতিবছর ২০ লক্ষ মডেল তৈরির পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মোটর, কন্ট্রোলার, ব্যাটারি এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ উৎপন্ন করা হবে।"