দেশজুড়ে ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছে Hero Electric,বৈদ্যুতিক স্কুটারের নতুন শোরুম খুলল এই শহরে

বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম ইলেকট্রিক স্কুটার কোম্পানি হিরো ইলেকট্রিক (Hero Electric) রাজস্থানের জয়পুরে তাদের নতুন ডিলারশিপ উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করল। ‘জয় দ্বারকা অটোমোবাইলস’-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে…

বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম ইলেকট্রিক স্কুটার কোম্পানি হিরো ইলেকট্রিক (Hero Electric) রাজস্থানের জয়পুরে তাদের নতুন ডিলারশিপ উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করল। ‘জয় দ্বারকা অটোমোবাইলস’-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে খোলা হয়েছে শোরুমটি। এখান থেকে একদিকে যেমন হিরোর বৈদ্যুতিক স্কুটার কেনা যাবে, অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়া যাবে। সংস্থার এই নতুন স্টোর রাজস্থানের মানুষকে পরিবেশবান্ধব যানবাহনমুখী করে তুলবে বলেই আশাবাদী হিরো ইলেকট্রিক।

নতুন শোরুমটি ৩,২০০ বর্গফুট অঞ্চল জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে হিরোর পোর্টফোলিওর সমস্ত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে করার আলাদা জায়গা রয়েছে। যা গ্রাহকদের পছন্দসই স্কুটার বেছে নিতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এখানে ক্রেতাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য ১,৮০০ স্কয়ার ফুট জায়গা আলাদাভাবে বরাদ্দ রয়েছে। এই ডিলারশিপ হিরো ইলেকট্রিকের সেরা এবং সবচেয়ে কার্যকরী স্কুটারগুলি সরাসরি আকর্ষণীয় মূল্যে বেছে নেওয়ার অফার দেবে।

এই প্রসঙ্গে হিরো ইলেকট্রিকের সিইও সোহিন্দর গিল বলেন, “উত্তর ভারতের মধ্যে রাজস্থান ইলেকট্রিক টু-হুইলারের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার। আমরা আমাদের গ্রাহকদের একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডের অভিজ্ঞতা দিতে বদ্ধপরিকর। আমাদের নবীনতম জয়পুরের ডিলারশিপ ইলেকট্রিক টু-হুইলারের পুনরায় চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে।” গিল জানান, রাজস্থান সরকারের বৈদ্যুতিক গাড়ি পলিসির আওতায় ৫,০০০-১০,০০০ টাকা স্টেট জিএসটি ছাড় পাওয়া যাবে। এতে সে রাজ্যে কার্বন মুক্ত পরিবহণের ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা যাবে বলেই তাঁর বিশ্বাস।

অন্যদিকে জয় দ্বারকা অটোমোবাইলসের মুখপাত্র অর্জুন নাতানি মন্তব্যে বলেন, “আমরা হিরো ইলেকট্রিকের সাথে অংশীদারীত্বে যেতে পেরে আপ্লুত। যারা ইলেকট্রিক টু-হুইলার সেগমেন্টের নেতৃত্ব প্রদানকারী সংস্থা। জীবাশ্ম জ্বালানির ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি এবং পরিবেশবান্ধব যানবাহনের প্রতি মানুষের আগ্রহ রাজস্থানে ইলেকট্রিক টু-হুইলারের চাহিদা অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।” প্রসঙ্গত, বর্তমানে হিরো ইলেকট্রিক তাদের উৎপাদন এবং কারখানার সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারতে তারা ১,৫০০ টাচপয়েন্ট খোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে।