Yamaha R15-এর দিন শেষ, এই 10 ফিচার্সে বাজার তোলপাড় করছে নতুন Hero Karizma

প্রত্যাশা মতই গত ২৯ শে আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে হিরো মটোকর্প এর এক সময়কার বাজার কাঁপানো আইকনিক মোটরসাইকেল Karizma XMR। এই মুহূর্তে দিল্লির…

প্রত্যাশা মতই গত ২৯ শে আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে হিরো মটোকর্প এর এক সময়কার বাজার কাঁপানো আইকনিক মোটরসাইকেল Karizma XMR। এই মুহূর্তে দিল্লির বুকে বাইকটির এক্স শোরুম মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে ১,৭২,৯০০ টাকা। ওইদিন থেকেই বাইকটির ঝুলিতে অগ্রিম বুকিং নেওয়া শুরু করেছে হিরো। সামনে আর কয়েক দিনের মধ্যেই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবে কারিশমা এক্সএমআর এর চাবি। ফুল ফেয়ারিংযুক্ত বাইক হিসেবে হিরো কারিশমা এর প্রত্যাবর্তন নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছিল নানা গুঞ্জন। এমনকি বাইকটির টেস্ট রাইড এর ছবি বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে নানা মাধ্যমে। চলুন হিরো কারিশমা এক্সএমআর এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যে চোখ রাখা যাক।

ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

২০২৩ সালে প্রত্যাবর্তনের সাথেই হিরো তার এই আইকনিক মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশনে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেনি। এতে চালিকাশক্তি সরবরাহ করবে ২১০ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত DOHC ইঞ্জিন। সাথে রয়েছে লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি। এই ইঞ্জিনটি ৯২৫০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ২৫.৫ বিএইচপি শক্তি এবং ৭২৫০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ২০.৪ এনএম টর্ক উৎপাদন করার ক্ষমতা রাখে। পূর্বতন সংস্করণে ফাইভ স্পিড গিয়ার বক্স থাকলেও এবারে রয়েছে ৬ ধাপ যুক্ত গিয়ার বক্স এবং স্লিপার ক্লাচ। কারিশমা এক্সএমআর এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টা প্রতি ১৪০ কিমি।

সাসপেনশন ও ব্রেকিং সিস্টেম

শুধুমাত্র চোখ ধাঁধানো ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি হিরো। রাইডারের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সামনের ও পিছনের চাকায় যথাক্রমে ৩০০ মিমি ও ২৩০ মিমি ডিস্ক ব্যবহার করা হয়েছে। সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে রয়েছে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস। সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাবে সামনের দিকে থাকা চিরাচরিত টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনের দিকের প্রিলোড অ্যাডজাস্টেবল মনোশক অ্যাবজরভার। বাইকটি স্টিলের তৈরি ট্রেলিস ফ্রেমের উপর নির্মিত। সামনে ও পিছনে দুদিকেই রয়েছে চওড়া টায়ার, যা পারফরমেন্স বৃদ্ধি করার সাথেই এর সৌন্দর্যকেও কয়েকগুণ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

অন্যান্য বৈশিষ্ট্য

নতুন ধরনের ফেয়ারিং ডিজাইন এবং বডি প্যানেলের দৌলতে হিরো কারিশমা এক্সএমআর কিন্তু এবার অনেক বেশি অ্যাগ্রেসিভ লুক নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। এর সর্বত্রই এলইডি লাইটের কাজ চোখে পড়ে। এলইডি হেডলাইট, এলইডি টার্ন ইন্ডিকেটর, ডিআরএল এবং এলইডি টেল লাইট ব্যবহার করা হয়েছে এতে। এছাড়াও হিরো মটোকর্পের কোনো বাইকে এই প্রথমবারের জন্য উচ্চতা পরিবর্তনকারী উইন্ডশিল্ড দেখতে পাওয়া যাবে। সামনের ফেয়ারিং এর দুপাশে লাগানো রয়েছে রিয়ারভিউ মিরর। উপরন্তু এর ক্লিপ অন হ্যান্ডেল বার এক বিশেষ ধরনের স্পোর্টি লুক প্রদান করে এতে।

কালার স্কিম ও ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল

হিরোর এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে সেগমেন্টের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। এই স্ক্রিনের মধ্যে স্পিডোমিটার, ওডোমিটার, টেকোমিটার গিয়ার পজিশন, তারিখ, সময়, ফুয়েল ইকোনমি, পেট্রোলের পরিমাণ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও এই ইন্সট্রুমেন্ট কনসোলে ব্লুটুথ এর মাধ্যমে মোবাইল ফোন সংযুক্ত করা যাবে। এর ফলে টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন এবং ফোনের নোটিফিকেশন মিলবে এই স্ক্রিনে। বাইকটি আইকনিক ইয়োলো, ম্যাট ফ্যান্টম ব্ল্যাক এবং টার্বো রেড এই তিনটি রঙে উপলব্ধ।