বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম হু হু করে কমবে, দেশের প্রথম লিথিয়াম ব্যাটারি সেলের কারখানা খুলল

ব্যাটারি টেকনোলজি স্টার্টআপ লগ৯ মেটেরিয়ালস (Log9 Materials) ভারতের প্রথম লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সেলের ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটির উদ্বোধন করল। পাশাপাশি তারা ভারতীয় প্রযুক্তিতে উৎপাদিত প্রথম ব্যাটারি সেল সামনে এনেছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি এই ব্যাটারি সেল ইলেকট্রিক টু এবং থ্রি হুইলার গাড়িতে ব্যবহৃত হবে। এর ফলে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের দাম কমে আসবে। কারণ একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির দামে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মূল্য হয় ব্যাটারির। এতদিন যা চীন, কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আমদানি করতে হত।

Log9 লিথিয়াম আয়ন সেলের ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটির উদ্বোধন করল

লগ৯ মেটেরিয়ালস দেশের প্রথম সংস্থা, যারা ভারতে স্থানীয়ভাবে একটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সেল প্রস্তুত করে দেখালো। বর্তমানে যার জন্য কোম্পানিগুলিকে বিদেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়। প্রথম বছরে পরীক্ষা এবং যাচাইয়ের জন্য ব্যাটারি সেলের পরীক্ষামূলক উৎপাদনের প্রোগ্রাম চালাবে কোম্পানি। তাদের বার্ষিক উৎপাদনের সক্ষমতা ৫০ মেগাওয়াট আওয়ার। সংস্থাটি ৬০২০০, ১৮৬৫০, ২১৭০০ ও আরও বিভিন্ন আকারের ব্যাটারি সেল তৈরি করতে পারবে।

Log9 opens Lithium Ion Cell Manufacturing Facility

লগ৯ বলেছে তাদের এই ব্যাটারি সেল গাড়ি তৈরির সার্বিক খরচ ৪০ শতাংশ কমাবে। তবে কোম্পানিটি উল্লেখযোগ্য হারে যানবাহনের মূল্য কমিয়ে ক্রেতাদের সুবিধা দেওয়া থেকে এখনও অনেকটাই দূরে রয়েছে। সংস্থাটি তাদের ব্যাটারি প্যাকের জন্য গাড়ি, গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র এবং ১ গিগাওয়াট আওয়ার ক্ষমতার কারখানা গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে।

আবার ব্যাটারি সেলের আয়ু ও কার্যকারিতা বাড়াতে সংস্থাটি নিজেস্ব ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গড়ে তুলেছে। এছাড়া লিথিয়াম টাইটানেট অক্সাইড (এলটিও) এবং লিথিয়াম ফেরো ফসফেট (এলএফপি) ব্যাটারি সেল উন্মোচন করেছে লগ৯। যা তারা ভবিষ্যতে তৈরির চিন্তাভাবনা করছে। প্রথমটির আয়ু ৪০ বছর এবং ৪০,০০০ বার চার্জ করা যাবে। এটি র‍্যাপিড চার্জিং সমর্থন করবে। এদিকে এলএফপি ব্যাটারিটি -৩০ থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় কার্যকর থাকবে।

বলাই বাহুল্য, ভারতীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পে স্থানীয়ভাবে ও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাটারি সেলের আগমন নয়া দিশা দেখাবে। এতে ব্যাটারির দামও কিছুটা কমে আসবে। লগ৯-এর ব্যাটারি সেলটির বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হওয়া থেকে এখনও কয়েক ধাপ পিছিয়ে রয়েছে। টেস্টিংয়ের কাজ শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।