Mahindra Thar Earth Edition Car Launched

Mahindra Thar: মাহিন্দ্রার বড় চমক, দেশের বৃহত্তম মরুভূমির আদলে লঞ্চ হল নতুন গাড়ি

বড় চাকাওয়ালা রাফ এন্ড টাফ এসইউভি (SUV) হিসেবে পরিচিত Mahindra Thar সম্পর্কে জানেন না এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই নগণ্য। এই গাড়ির নানা এডিশন ইতিপূর্বে হাজির হয়েছে বাজারে। এবার আরো এক নতুন রূপে হাজির মাহিন্দ্রা থর। গাড়িটির “আর্থ এডিশন” (Earth Edition) লঞ্চ হয়েছে গতকাল। ভারতের সবচেয়ে বড় মরুভূমি থার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রাখা হয়েছে নতুন সংস্করণের নাম। তাই স্পেশাল এডিশন থার গাড়িটিতে মরুভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এতে ব্যবহৃত হয়েছে ডেজার্ট ফিউরি সাটিন ম্যাট পেইন্ট স্কিম। LX হার্ড টপ 4×4 সিস্টেমে চারটি ভ্যারিয়েন্টে মিলবে থার আর্থ এডিশন। দাম ১৫.৪০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৭.৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গিয়েছে (এক্স শোরুম)।

Mahindra Thar Earth Edition: ডিজাইন

প্রথমে ডিজাইনের কথা বলতে গেলে থার আর্থ এডিশনের ডিজাইন হুবহু অন্যান্য সংস্করণগুলির মতোই রাখা হয়েছে। ডেজার্ট ফিউরি সাটিন ম্যাট রংয়ের এই বিশেষ এডিশনের মডেলটিতে পিছনের দিকের ফেন্ডার এবং দরজায় রং বালিয়াড়ির আদলে করা হয়েছে। বি পিলারের উপর রয়েছে আর্থ এডিশন ব্যাজিং। ১৭ ইঞ্চির রূপালি রঙের অ্যালয় হুইল ডিজাইনকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।

Mahindra Thar Earth Edition: ইন্টেরিয়র ডিজাইন

এই এসইউভি এর অন্দরমহলের কালার থিম ডুয়েল টোন। কালো বেস হিসাবে ব্যবহার করে হালকা বেইজ রংয়ের সঙ্গে ডিউন ডিজাইন রয়েছে সিটের হেডরেস্ট অংশগুলিতে। ভেতরের দিকে দরজার গায়ে থার লোগো নজরে আসে। যার চারপাশে রয়েছে ডার্ক ক্রোম অ্যাকসেন্ট। উপরন্তু এসি ভেন্ট, সেন্টার কনসোল এবং স্টিয়ারিং হুইলের উপর আছে ডেজার্ট ফিউরি রংয়ের কারুকার্য। এছাড়াও মাহিন্দ্রা জানিয়েছে যে প্রতিটি গাড়িতে একটি কারুকার্যমন্ডিত VIN প্লেটের উপর ইউনিক নম্বর দেওয়া থাকবে। এই সমস্ত ছাড়াও গ্রাহকরা প্রয়োজনে আলাদাভাবে কাস্টমাইজ করা সামনের ও পিছনের আর্মরেস্ট, ফ্লোর ম্যাট, কমফোর্ট কিট ইত্যাদি অতিরিক্ত অ্যাক্সেসরিজ হিসাবে পেতে পারবেন।

Mahindra Thar Earth Edition: ইঞ্জিন

উঁচু নিচু পাহাড়ি পথে অ্যাডভেঞ্চারে যাওয়ার জন্য বরাবরই গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায় প্রথম স্থানে থাকে থার। পারফরম্যান্সই একে জনপ্রিয়তার শিখরে বসিয়েছে। মাহিন্দ্রা থার আর্থ এডিশনের ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন অন্যান্য মডেলের মতোই অপরিবর্তিত থাকছে। পেট্রোল এবং ডিজেল ইঞ্জিন অপশন পাবেন গ্রাহকরা।

একদিকে থাকছে ২.২ লিটারের চারটি সিলিন্ডার যুক্ত টার্বোচার্জড ডিজেল ইঞ্জিন। এটি সর্বোচ্চ ১৩০ পিএস শক্তি এবং ৩০০ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে। অন্যদিকে রয়েছে ২.০ লিটারের টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন, যার পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ১৫০ পিএস এবং ৩২০ এনএম। দুটি ইঞ্জিনের সঙ্গেই সিক্স স্পিড ম্যানুয়াল এবং সিক্স স্পিড টর্ক কনভার্টার অটোমেটিক ট্রান্সমিশন সিস্টেম উপলব্ধ।