Maruti কুল কিনারা পাচ্ছে না, বুকিং বেড়েই চলেছে, 4 লাখ গাড়ি ডেলিভারি দেওয়া বাকি
গাড়ির ডেলিভারি দিতে কার্যত ‘লেজে-গোবরে’ অবস্থা ভারতের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti...গাড়ির ডেলিভারি দিতে কার্যত ‘লেজে-গোবরে’ অবস্থা ভারতের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র। দিনকে দিন বুকিংয়ের সংখ্যা পাহাড়প্রমাণ হয়ে চলেছে। তার উপর অটো এক্সপো ২০২৩-এ Jimny ও Fronx এসইউভি প্রদর্শনের পর বুকিংয়ের অঙ্কতে যুক্ত হচ্ছে নতুন সংখ্যা। গত বছর ডিসেম্বরে যেখানে ইন্দো-জাপানি সংস্থাটির ৩,৬৩,০০০টি বুকিং জমে ছিল, এখন তা বেড়ে ৪,০৫,০০০ ইউনিটে পৌঁছেছে। আর এই বৃহৎ সংখ্যক গাড়ির ডেলিভারি দিতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে মারুতি সুজুকি।
বর্তমানে জিমনি পেয়েছে ১১,০০০-এর বেশি বুকিং এবং ফ্রঙ্কসের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি হল প্রায় ৪,০০০ ইউনিট। এই প্রসঙ্গে মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার মার্কেটিং ও সেলসি বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব বলেন, “বর্তমানে আমরা ৪,০৫,০০০ সংখ্যক বুকিংয়ের কাছাকাছি। যা পুরোটাই জমে রয়েছে। ২০২২ এর জানুয়ারির তুলনায় চলতি মাসে গাড়ির বিষয়ে ক্রেতাদের জিজ্ঞাস্য ২৮ শতাংশ এবং বুকিং ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।"
সংস্থার পাঁচ দরজার জিমনি ও ফ্রঙ্কসের আত্মপ্রকাশের পর থেকে বুকিংয়ের সংখ্যায় বাঁধ ভেঙেছে। শ্রীবাস্তব যোগ করেন, গ্রাহকদের থেকে গাড়ি দু'টির বিষয়ে ব্যাপক সাড়া মিলছে। জিমনির ক্ষেত্রে আমরা প্রত্যহ প্রায় ১,০০০ করে বুকিং পাচ্ছি। এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যা ১১,০০০ পার করেছে। অন্যদিকে ফ্রঙ্কসের ক্ষেত্রে প্রত্যহ ৩০০-র কাছাকাছি বুকিং আসবে। যা সবমিলিয়ে প্রায় ৪,০০০।
মারুতি সুজুকি অবশ্য এখনও পর্যন্ত গাড়ি দুটির দাম ঘোষণা করেনি। মার্চ-এপ্রিল নাগাদ মার্কেট লঞ্চের সম্ভাবনা। এদিকে চলতি অর্থর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশের ঘাটতির কারণে সংস্থাটি ৪৬,০০০টি গাড়ি কম তৈরি করতে পেরেছে। আর এই কারণেই গ্রাহকদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে শীঘ্রই সেমিকন্ডাক্টর চিপের অপ্রতুলতা মিটবে বলেই আশাবাদী সংস্থা। ফলে জমে থাকা বুকিংয়ের অঙ্কটি কমিয়ে আনা যাবে। ২০২১-এ তাদের ১৩.৬৪ লক্ষ গাড়ি বিক্রি হলেও ২০২২-এ বেচাকেনার পরিমাণ ছিল ১৫.৭৬ লক্ষ ইউনিট। ফলে আগের বছর বিক্রিতে ১৬ শতাংশ উত্থান ঘটতে দেখা গেছে।