Maruti Suzuki: নতুন গাড়ির মধ্যে অর্ধেকের বেশি ইলেকট্রিক, মারুতির মাস্টারপ্ল্যানে ঘুম ছুটবে টাটার

দীর্ঘদিন ধরে ভারতের যাত্রীবাহী গাড়ি দুনিয়ার রাজমুকুট মাথায় ধারণ করে রেখেছে মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)। কিন্তু সেই শীর্ষস্থান আগলে রাখাতে খামতি দেখা দিলে, সে কোনো…

দীর্ঘদিন ধরে ভারতের যাত্রীবাহী গাড়ি দুনিয়ার রাজমুকুট মাথায় ধারণ করে রেখেছে মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)। কিন্তু সেই শীর্ষস্থান আগলে রাখাতে খামতি দেখা দিলে, সে কোনো সময় তা হাতছাড়া হতে পারে। তাই নতুন গাড়ি লঞ্চের ক্ষেত্রে এতোটুকু ভাটা পড়তে দিতে নারাজ তারা। ২০৩০-এর মধ্যে ১০টি নতুন গাড়ি লঞ্চের পরিকল্পনা করছে ইন্দো-জাপানি সংস্থাটি। যার মধ্যে হাফ ডজন মডেলই হবে ইলেকট্রিক ।

Maruti Suzuki ২০৩০-এর মধ্যে ১০টি নতুন গাড়ি আনছে

২০৩২-এর মধ্যে বার্ষিক গাড়ির বিক্রি ৪০ লক্ষ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে Alto-র নির্মাতা। তা বাস্তবায়িত করতে মারুতি ৩.০ স্ট্র্যাটেজি-র আওতায় উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সংস্থার চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, ২০৩০-৩১ এর মধ্যে মারুতি সুজুকি বর্তমানে তাঁদের পোর্টফোলিওতে মডেলের সংখ্যা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২৮ করার লক্ষ্য স্থির করেছে।

মারুতি সুজুকি তাদের ৩.০ স্ট্র্যাটেজি-র আওতায় উৎপাদন বাড়ানোর প্রেক্ষাপট খতিয়ে দেখছে। যার অধীনে এসইউভি এবং ক্রসওভার গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হবে। বিগত কয়েক বছরে যার একাধিক মডেলের টেস্টিং চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে সংস্থার ছোট গাড়িগুলির বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমতে দেখা যাচ্ছে। তাই বাজারে তুলনামূলক বড় মডেলগুলির প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ, নিজেদের লাইনআপ ঢেলে সাজাতে উদ্বুদ্ধ করেছে কোম্পানিকে।

এই প্রসঙ্গে ভার্গবের বক্তব্য, “মারুতি সুজুকি বর্তমানে চারটি গ্রহণযোগ্য এসইউভি বিক্রি করে। আমরা এই সেগমেন্টে নেতৃত্ব প্রদানের পথে এগোচ্ছি। গত দু-তিন বছরে এক্ষেত্রে মার্কেট শেয়ার কমতে দেখার পর, এবারে ধীরে ধীরে আমরা তা বাড়াচ্ছি।” তাঁর বিশ্বাস, ২০৩০-৩২ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ৬ শতাংশ হারে অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে পারবে কোম্পানি। এক্ষেত্রে তাঁর সংযোজন, “Maruti 3.0 আরম্ভ হয়েছে। আমাদের প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছিল যখন আমরা পাবলিক এন্টারপ্রাইজ ছিলাম। এরপর কোভিড মহামারির সময় দ্বিতীয় পর্যায় শেষ হয়। এর মধ্যেই ভারতের গাড়ি শিল্পের বাজার বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম স্থান অর্জন করে। সংস্থার সামনে এমন চ্যালেঞ্জ আগে কখনও আসেনি।”