বিক্রির নিরিখে এক থেকে সোজা চারে নেমে গেল Ola, ইলেকট্রিক স্কুটারে অগ্নিকান্ডের পর কি ভরসা কমেছে?

ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric)-এর একাধিক বৈদ্যুতিক স্কুটারে অগ্নিসংযোগ ও সফটওয়্যারের গোলযোগের প্রভাব পড়ল ব্যবসায়। এক ধাক্কায় ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদ্যুতিক টু-হুইলার সংস্থার আসন থেকে নেমে এল চতুর্থ স্থানে। যদিও এপ্রিলে দেশের বৃহত্তম ইলেকট্রিক টু-হুইলার সংস্থার তকমা পেয়েছিল ওলা। বিক্রিতে এই স্থানচ্যুতি কী গ্রাহকদের অসন্তোষের ফলাফল? আদতে তেমনটাই মনে করছেন একাংশ বিশেষজ্ঞ। জুনে ওলার রেজিস্ট্রেশনের সাথে ই-স্কুটারের ডেলিভারির সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমতে দেখা গিয়েছে। বাহন (VAHAN) সূত্রে খবর, গত মাসে ভাবিশ আগরওয়ালের সংস্থা ওলা ইলেকট্রিকের ৫,৮৬৯টি ই-স্কুটার নথিভুক্ত হয়েছে।

৩০ মে-র তুলনায় ৩০ জুনে ওলার রেজিস্ট্রেশনের পরিমাণ ৩০ শতাংশের বেশি কমেছে। এদিকে জুনে বিক্রির নিরিখে দেশের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক দুই চাকার গাড়ি সংস্থার তকমা ধরে রাখল ওকিনাওয়া অটোটেক (Okinawa Autotech)। তাদের মোট ৬,৯৭৬টি স্কুটার বিক্রি হয়েছে। ৬,৫৩৪টি বিক্রিত ইউনিট নিয়ে পরবর্তী অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানের দখলদার অ্যাম্পিয়ার ভেহিকেলস প্রাইভেট লিমিটেড (Ampere Vehicles Pvt Ltd)।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে এক সময়কার দীর্ঘদিন বৃহত্তম ইলেকট্রিক টু-হুইলার সংস্থার তকমা ধরে রাখা হিরো ইলেকট্রিক (Hero Electric)। তাদের মোট বেচাকেনার পরিমাণ ৬,৪৮৬। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে জায়গা পেয়েছে যথাক্রমে এথার এনার্জি (Ather Energy) ও রিভল্ট (Revolt)। এদের বিক্রি পরিমাণ যথাক্রমে ৩,৭৯৭ ও ২,৪১৯। এদিকে মে মাসে ওকিনাওয়া মোট ৯,৩০২টি ই-স্কুটার বিক্রি করেছিল। যেখানে ওলা বেচেছিল ৯,২২৫টি Ola S1 Pro স্কুটার।

ওলার এই স্থানচ্যুতি সম্পর্কে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আমাদের গ্রাহক পরিষেবাকে আরও ভালো করার জন্য আমরা ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছি। আমাদের টার্নঅ্যারাউন্ড টাইম  ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিয়ে এসেছি। জুলাইয়ে আমাদের জোগান শৃঙ্খলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং আমাদের সমস্ত অর্ডার পূরণ করতে পারব।”  বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুটারে নিজে থেকে আগুন লাগা  ও খারাপ গুনমাণের কারণে বহু গ্রাহক ওলা থেকে বিমুখ হয়েছেন।