পুরানো Honda Activa কিনবেন? সুবিধা ও অসুবিধাগুলি জেনে নিন

কম বাজেটের কারণে অনেকেই ব্যবহৃত পুরানো টু-হুইলার কিনতে চান। কিন্তু কেনার আগে মডেলটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকায় পরে পস্তাতে হয় অনেককেই। তাই কেনার আগে খুঁটিনাটি বিষয়গুলি জানা থাকলে বড় হয়রানি এড়ানো যেতে পারে। আপনি যদি কারোর ব্যবহৃত পুরানো Honda Activa স্কুটারটি কেনার কথা ভেবে থাকেন তবে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য।

Honda Activa স্কুটারটির প্রসঙ্গে বলতে গেলে, গত ২০০১ সালে ভারতে আত্মপ্রকাশের পর থেকে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে এটি মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। একই সাথে Honda Activa-র হাত ধরে সংস্থাটি সাফল্যের শিখরে উপনীত হয়। নিজের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে একসময় স্কুটারটি ভারতের সর্বাধিক বিক্রিত টু-হুইলারের তকমা আদায় করে নেয়। ছাত্র-যুবক-মাঝবয়সী-বয়স্ক এমনকি মহিলাদের কাছেও ভারতের এই মিডিল-ক্লাস ফ্যামিলি স্কুটারটির চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়তেই থাকে। আসুন পুরানো Honda Activa কেনার সুবিধা ও অসুবিধাগুলি একবার চোখ বুলিয়ে নিই।

পুরানো Honda Activa কেনার সুবিধা

১) এটি যেহেতু ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড স্কুটার, তাই এর ভারোত্তোলন ক্ষমতা অধিক এবং আরামদায়ক রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা দেয়।

২) এর চওড়া ও বড় সিটটি চালক ও যাত্রীদের যথেষ্টই স্বাচ্ছন্দ দেয়।

৩) Honda Activa-র দাম এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সাধ্যের মধ্যেই বলা চলে।

৪) ভারতের অন্যতম ভরসাযোগ্য একটি মোটরযান হল হোন্ডা অ্যাক্টিভা।

৫) Honda Activa-i, Activa 125 এবং Activa 110 এই তিনটি ভ্যারিয়েন্টের বিকল্পে চয়ন করা যাবে স্কুটারটি।

পুরানো Honda Activa কেনার অসুবিধা

১) এতগুলি সুবিধা থাকলেও এর কয়েকটি অসুবিধাও রয়েছে। যেমন ফিচারের দৌড়ে এই সেগমেন্টের অন্যান্য স্কুটারের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে অ্যাক্টিভা।

২) Honda Activa-র পুরানো মডেলগুলিতে ডিস্ক ব্রেক অথবা সিবিএস প্রযুক্তি নেই।

৩) প্রথমদিকের মডেলগুলিতে মিলবে না টেলিস্কোপিক সাসপেনশন অথবা অ্যালয় হুইল।

এই অসুবিধাগুলির সাথে যদি আপনি মানিয়ে নিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে নিশ্চিন্তে কেনাই যেতে পারে পুরানো Honda Activa।