Porsche Digital Twin: কমবে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, নতুন প্রযুক্তি বলবে গাড়ি সার্ভিসিং করানোর সঠিক সময়

মানুষের শরীরের মতোই গাড়ি নিয়মিত যত্নে থাকলে তার আয়ু যেমন বাড়ে, তেমনই সার্বিক ভাবে খরচও কমে যায়। কারণ সঠিকভাবে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারলে আচমকা কোনও যন্ত্রাংশ বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। তবে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর গাড়ি চালানোর প্রকৃতি অন্যরকম। এর ফলে ঠিক কত দিন পর পর গাড়ির সার্ভিসিং করাতে হবে, তা অনেকেই ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেন না। অনেক সময় দেরি করে সার্ভিস স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় যন্ত্রাংশ খারাপ হয়ে বসে রয়েছে৷ সেটা বদলানো ছাড়া আর পথ থাকে না। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে একটি নতুন প্রযুক্তি গড়ে তুলেছে নামজাদা গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা পোর্শা (Porsche)। প্রযুক্তিটির নামকরণ হয়েছে ডিজিটাল টুইন (Digital Twin)।

পোর্শ ডিজিটাল টুইন প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে (How Does Porsche Digital Twin technology work)

পোর্শার ডিজিটাল টুইন টেকনোলজি কোনও নির্দিষ্ট মডেলের গাড়ির একটি অবিকল ভার্চুয়াল প্রতিরূপ (রেপ্লিকা) তৈরি করে। তার পর এটি নানাপ্রকার গাণিতিক পরিভাষা (অ্যালগরিদম) ব্যবহার করে শনাক্ত করে গাড়ির সম্ভাব্য ত্রুটি। বলে দেয় গাড়ির সার্ভিসিং করানোর উপযুক্ত সময়। পোর্শার তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের ডিজিটাল টুইন প্রযুক্তিতে ভিন্ন ভিন্ন অ্যালগরিদমের মিলন ঘটানো হয়েছে৷ যা একগুচ্ছ সেন্সর থেকে ডেটা সংগ্রহ করে ব্যবহারকারীর গাড়ি চালানোর অভ্যাসের উপর ভিত্তি করে গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুপারিশ করবে।

অর্থাৎ কোনও ত্রুটি যাতে বড় আকার ধারণ করে মাথা ব্যাথার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, তা নির্ণয় করে আগেভাগেই জানিয়ে দেবে Porsche-র Digital Twin প্রযুক্তি। এটি গাড়ি ব্যবহারকারীদের উপকারে আসার পাশাপাশি কোন যন্ত্রাংশে ত্রুটি রয়েছে, সেই সম্বন্ধীয় যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করে সারাই কর্মীদের (মেকানিক) কাজ আরও সহজ করে তুলবে। বিগড়াতে চলা কলকব্জা আগে থেকেই সারিয়ে অর্থের অপচয় হওয়া থেকেই রক্ষা করবে।

পোর্শা ডিজিটাল টুইন প্রযুক্তি কি গাড়ির বাঁধাধরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার সূচীর জায়গা নেবে? (Can Porsche Digital Twin technology replace fixed Maintenance schedules)

আপাতদৃষ্টিতে সেই সম্ভাবনার কথাই উঠে আসছে। গাড়ি সংস্থাগুলি পোর্শার ডিজিটাল টুইন প্রযুক্তি গ্রহণ করে চালকের উপর ভিত্তি করে রক্ষণাবেক্ষণের একটি সময়সূচী সুপারিশ করতে পারে। এটি তাদের কাছে এক নতুন ব্যবসার সুযোগ এনে দিতে পারে। প্রযুক্তিটি অতিরিক্ত মূল্যের বিনিময়ে ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস হিসেবে একটি প্যাকেজের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত করা হতে পারে। উল্লেখ্য, পোর্শা তাদের ডিজিটাল টুইন প্রযুক্তি কবে বাজারজাত করবে, তা এখনও সবিস্তারে জানায়নি।